ইউক্রেনে হামলায় রাশিয়া ক্রমবর্ধমানভাবে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডের গোয়েন্দা সংস্থা।
শুক্রবার (০৪ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে, জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা— বুন্দেসনাক্রিচেন্ডিয়েনস্ট (বিএনডি) এবং ডাচ গোয়েন্দা সংস্থা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিস (এমআইডি)-এর কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার তীব্রতর হচ্ছে, যদিও এই ধরনের অস্ত্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটা আগেই জানা ছিল- রাশিয়া ইউক্রেনে টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করছে, কিন্তু আমরা এখন নিশ্চিত করতে পারি, রাশিয়া ক্লোরোপিক্রিনও ব্যবহার করছে, যা একটি শক্তিশালী রাসায়নিক যৌগ। এটি আবদ্ধ স্থানে উচ্চ মাত্রায় ব্যবহার করলে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।’
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, এ ধরনের রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন, যা যেকোনো পরিস্থিতিতে শ্বাসরোধকারী রাসায়নিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।
ডাচ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলম্যানস বলেছেন, তারা রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে এবং রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করার জন্য গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘এই ধরণের অস্ত্র ব্যবহার শুধু ইউক্রেনের জন্যই নয়, বরং ইউরোপ এবং বিশ্বের বাকি অংশের জন্যও বিপদ ডেকে আনে। এর জন্য রাশিয়া ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনের জন্য অবিরাম সামরিক সহায়তা প্রয়োজন।’
এদিকে জার্মান-ডাচ গোয়েন্দা সংস্থার এই দাবির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি রাশিয়া। তবে এর আগে, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ধারাবাহিকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে।
সূত্র: আনাদোলু
এমএইচআর