শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

‘১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে আটক-নির্যাতন ইসরায়েলের দখল নীতির মেরুদণ্ড’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৫১ এএম

শেয়ার করুন:

‘১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে আটক-নির্যাতন ইসরায়েলের দখল নীতির মেরুদণ্ড’

১৯৬৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে আটক ও নির্যাতন করেছে ইসরায়েল। একটি মার্কিন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বন্দিত্ব ও নির্যাতনই ইসরায়েলের ফিলিস্তিন দখল নীতির মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ‘আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন’ নামে সংস্থাটি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে জানানো হয়, গত ৫৮ বছরে প্রতিদিন গড়ে ৪৭ জন ফিলিস্তিনিকে কারাগারে পাঠিয়েছে ইসরায়েল।


বিজ্ঞাপন


প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র টানা প্রায় ৭০০ মাস ধরে ইসরায়েলের এই দমনমূলক নীতিকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে এক নারী বন্দির সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, ফিদা আসাফ নামে এক ফিলিস্তিনি নারীকে কালকিলিয়ার কাফর লাকিফ গ্রাম থেকে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী। চিকিৎসা শেষে রামাল্লাহ থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। পরে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, আসাফকে একাধিকবার বিবস্ত্র করে তল্লাশি করা হয় এবং তাকে নোংরা ও কীটপতঙ্গে ভরা একটি কক্ষে রাখা হয়। সেখানে তাকে কয়েকদিন ধরে খাবার ও পানি ছাড়াই রাখা হয়েছিল।

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও আসাফ এখনো বেরডেমন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সেখানে আরও ৪০-এর বেশি নারী বন্দি রয়েছে। তাদের মধ্যে গর্ভবতীও আছেন, যেমন জাহরা কাওয়াজবেহ ও দুয়া কাওয়াজবেহ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এদেরকে চরম নির্যাতন ও চিকিৎসা অবহেলার মধ্যে রাখা হয়েছে।

২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত ইসরায়েলি কারাগারে মোট ১০ হাজার ৬৮ জন ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৫৫ জন দণ্ডপ্রাপ্ত, ৩ হাজার ১৯০ জন বিচার প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় এবং ৩ হাজার ৫৭৭ জন কোনো অভিযোগ ছাড়াই প্রশাসনিকভাবে আটক।


বিজ্ঞাপন


প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলের বিভিন্ন সেনাঘাঁটি ও বসতি থেকে ২৫১ জনকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ডজনখানেক বন্দিকে পরে মুক্তি দেওয়া হয়। বর্তমানে হামাসের হাতে ৪৯ জন বন্দি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এদের মধ্যে ২৭ জন ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়ে থাকতে পারেন।

এই প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েল শুধু দখলই করেনি, বরং বন্দিত্ব ও কারাব্যবস্থাকে একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর সেই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অর্থায়ন বড় ভূমিকা রেখেছে। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর