মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দেশটি পুলিশ। এরমধ্যে কয়েকজন আল-কায়েদা এবং হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার (৩০ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে মালয় সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইট টাইমস ও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
বিজ্ঞাপন
মালয়েশিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক খালিদ ইসমাইল বলেছেন, মালয়েশিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) চরমপন্থি মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে উগ্রপন্থি কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত কিছু বাংলাদেশিকে সিকিউরিটি অফেন্সেস (স্পেশাল মেজারস) অ্যাক্ট ২০১২ এর আওতায় আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সন্দেহভাজনরা শিক্ষার্থী এবং কর্মী সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছিল।
তিনি আরও জানান, আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতোমধ্যেই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কয়েকজন এখনো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
এর আগে শুক্রবার (২৭ জুন) এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল জানান, দেশটির পুলিশ ৩৬ জন বাংলাদেশিকে আটক করে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ— তারা আইএস-এর মতাদর্শ ও সহিংস চরমপন্থায় প্রভাবিত হয়ে একটি চরমপন্থি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছিলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ২৪ এপ্রিল থেকে সেলাঙ্গর এবং জোহর প্রদেশে তিনটি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত ৩৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত অপরাধে মালয়েশিয়ার শাহ আলম ও জোহর বারু সেশন কোর্টে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৬ জন এখনো তদন্তাধীন রয়েছেন।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, অভিযুক্তরা নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উগ্র মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তহবিল সংগ্রহ করার এবং তাদের নিজ দেশে সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে সেল প্রতিষ্ঠা করেছিল। মালয়েশিয়া বিদেশি চরমপন্থি আন্দোলনকে আশ্রয় দেবে না। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিকে হালকাভাবে নেওয়া হবে না।
এমএইচআর