দুর্নীতি মামলার বিচার কার্যক্রমে দুই সপ্তাহের বিরতির জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে জেরুজালেম জেলা আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু তার আইনজীবীর মাধ্যমে এ আবেদন করেছিলেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) এক বিবৃতিতে জেরুজালেম জেলা আদালতের বিচারপতি রিভকা ফ্রিডম্যান-ফেল্ডম্যান বলেন, ‘নেতানিয়াহুর আইনজীবী অমিত হাদাদের দাখিল করা অনুরোধের ন্যায্যতা প্রমাণ করার মতো কোনো বিস্তারিত ভিত্তি বা কারণ উপস্থাপন করা হয়নি। ফলে বিচার কাজ পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলবে।’
বিজ্ঞাপন
এরআগে গতকাল নেতানিয়াহুর আইনজীবী অমিত হাদাদ বলেছিলেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী (নেতানিয়াহু) ‘কূটনৈতিক, জাতীয় এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত’ প্রাথমিক বিষয়গুলোতে সময় দেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহের বিরতি চেয়ে আবেদন করেছেন।
অন্যদিকে জেরুজালেমের অ্যাটর্নির অফিস এ আবেদনের বিরোধীতা করে বলেছে, ‘নেতানিয়াহুর অনুরোধে বর্ণিত সাধারণ কারণগুলো দুই সপ্তাহের শুনানি বাতিল করার ন্যায্যতা প্রমাণ করতে পারে না, বিশেষ করে আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ছুটির অবকাশের আগে।’
অ্যাটর্নির অফিস আরও জানায়, নেতানিয়াহুকে তার দায়িত্বগুলো পালনের জন্য ইতিমধ্যেই সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তাকে সপ্তাহে তিনবারের পরিবর্তে সপ্তাহে দুইবার সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ঘুষ, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি আলাদ অভিযোগ গঠন করা হয়। পরের বছর ২০২০ সালে তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
প্রথম মামলায় নেতানিয়াহু এবং তার স্ত্রী সারার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলারেরও বেশি মূল্যের বিলাসবহুল পণ্য ঘুষ হিসেবে গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।
অন্য দুটি মামলায়, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ রয়েছে। যদিও প্রথম থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন নেতানিয়াহু।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
এমএইচআর