ইরানের ওপর থেকে তেল নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর দেশটির পুনর্গঠনে সাহায্য করতে এমন পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের কৌশল বজায় রেখেছে, যার মধ্যে দেশটির তেল বিক্রির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। খবর রয়টার্সের।
বিজ্ঞাপন
তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরানকে নিজেদের দেশ পুনর্গঠনে সাহায্য করতে এই নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগে কিছুটা নমনীয়তা আনা হতে পারে।
ন্যাটো সম্মেলনে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ওদের দেশ আবার গড়ে তুলতে অর্থ লাগবে। আমরা চাই সেটা হোক।
এর আগের দিন তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধবিরতির পর চীন চাইলে ইরানের কাছ থেকে তেল কিনতে পারবে।
তবে পরে হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করে জানায়, প্রেসিডেন্টের ওই মন্তব্যের অর্থ এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র ওই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, ‘টিপট’ রিফাইনারিসহ চীনের বেশ কয়েকটি স্বাধীন তেল শোধনাগার ও বন্দরের টার্মিনাল অপারেটরদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যারা ইরানের কাছ থেকে তেল কিনছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই মন্তব্য চীনের প্রতি একটি বার্তা— আমরা তোমাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই, তোমাদের অর্থনীতিকে ক্ষতি করতে চাই না।
উল্লেখ্য, চীন ইরানের শীর্ষ তেল ক্রেতা এবং দেশটি ট্রাম্প প্রশাসনের ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে।
উইটকফ বলেন, আমরা চাই একসঙ্গে কাজ করতে। এবং আশা করি, এটা ইরানিদের জন্যও একটা বার্তা হবে।
-এমএমএস