বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

ইরান পরমাণু কর্মসূচি শুরু করলে ফের হামলার হুমকি ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক দশক পিছিয়ে গেছে, দাবি ট্রাম্পের

ইরান তাদের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করলে যুক্তরাষ্ট্র আবারও হামলা চালাবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানকে ‘অবিশ্বাস্য সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি দাবি করেছেন, এই হামলা তেহরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ‘কয়েক দশক’ পিছিয়ে দিয়েছে।

বুধবার (২৫ জুন) নেদারল্যান্ডের হেগে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।  


বিজ্ঞাপন


ইরান যদি তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আবার আক্রমণ করবে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘অবশ্যই, কিন্তু আমাদের এটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, তাদের এটি করতে অনেক বছর লাগবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না তারা আর কখনও পরমাণু কর্মসূচি শুরু করবে।’ 

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ইরানে ওই আঘাতে যুদ্ধের অবসান ঘটে। আমি হিরোশিমার উদাহরণ দিতে চাই না, নাগাসাকির উদাহরণও দিতে চাই না, কিন্তু মূলত এটি একই জিনিস ছিল, যা সেই যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল। আমরা যদি এটি না করতাম, তাহলে এখনো এই যুদ্ধ অব্যাহত থাকত।’ 


বিজ্ঞাপন


ইরানের পারমাণমিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটি কথিত গোপন মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বিরোধিতা করেছেন ট্রাম্প। যেখানে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অগ্রগতি কিছুটা সময়ের জন্য থেমে গেলেও, সামগ্রিক সক্ষমতা খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। 

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মূল্যায়ন তৈরি করেছে পেন্টাগনের গোয়েন্দা শাখা এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা ডিআইএ)। একাধিক সূত্র জানায়, এই প্রাথমিক বিশ্লেষণ তৈরি করা হয়েছে ইরানে চালানো মার্কিন হামলার পর ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড পরিচালিত যুদ্ধ-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে।

iran1
মার্কিন হামলার পর ইরানের ফোরদো পরমাণু কেন্দ্র

 

মূল্যায়নে যুক্ত থাকা দুজন ব্যক্তির বরাতে সিএনএন বলছে, হামলার ফলে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত ধ্বংস হয়নি। এমনকি, বহু সংখ্যক সেন্ট্রিফিউজ এখনও অক্ষত রয়েছে। আরেকটি সূত্র আরও জানায়, হামলার আগে এসব ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, ফলে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ কম। তাদের মতে—এই হামলা ইরানকে সর্বোচ্চ কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে দিতে পেরেছে, কিন্তু এর চেয়ে বেশি নয়।

অন্যদিকে, রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুত এখনও অপসারণ করা হয়নি এবং বেশিরভাগই মাটির গভীরে সুরক্ষিত রয়েছে। যদিও ইরান দাবি করছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি একান্তই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে, বিশেষ করে জ্বালানি উৎপাদনের জন্য।

এমএইচআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর