রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

পারমাণবিক কর্মসূচি ফের চালু করছে ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

পারমাণবিক কর্মসূচি ফের চালু করছে ইরান

ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামী বলেছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সৃষ্ট ক্ষতি মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং দ্রুতই স্থাপনাগুলো পুনর্বাসন করে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেহের নিউজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইসলামী বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো মূল্যায়ন করছি। ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যাতে উৎপাদন বা সেবার কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।’


বিজ্ঞাপন


গত শনিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক পোস্টে দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। তিনি জানান, হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সব বিমান ইরানের আকাশসীমা থেকে নিরাপদে ফিরে গেছে।

fordo

ট্রাম্প একইসঙ্গে একটি ওপেন-সোর্স গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে বলা হয়—ফোরদো স্থাপনাটি ‘আর নেই’।

তবে ট্রাম্পের এই দাবির সঙ্গে পুরোপুরি একমত হয়নি ইরান। দেশটি হামলার সত্যতা স্বীকার করলেও ক্ষয়ক্ষতি সীমিত এবং নিয়ন্ত্রিত বলে দাবি করছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানায়, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে বড় ধরনের কোনো তেজস্ক্রিয় বিপদের আশঙ্কা নেই।


বিজ্ঞাপন


ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম এক প্রতিবেদনে জানায়, কোম প্রদেশের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ফোরদোর কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তার বরাতে জানায়, মার্কিন হামলায় যেসব স্থাপনায় আঘাত হানা হয়েছে, সেগুলোর ভেতরে তখন কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছিল না। কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, ওইসব স্থাপনা থেকে আগে থেকেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে, গত ১৩ জুন থেকে ইরানের পরমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে  ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। একইসঙ্গে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। মূলত ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যার মাধ্যমে দেশটির পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে চায় নেতানিয়াহুর সরকার। ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযানে ইরানের কমপক্ষে ১৪ জন শীর্ষ বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন— ইরানের ইসলামী আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি এবং ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ও নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ার ফেরেইদুন আব্বাসি।

সূত্র: আলজাজিরা

এমএইচআর 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর