ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার পরেও মস্কো কেন সরাসরি তেহরানকে সহায়তা করছে না— এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার মতে, রাশিয়া এই সংঘাতে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছে। কারণ রাশিয়া এবং ইরানের মধ্যে কয়েক দশক ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও ইসরায়েলে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক রুশভাষী জনগোষ্ঠীর বিষয়টি তুলে ধরেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে পুতিনকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেতে চাই, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রুশ ফেডারেশনের প্রায় ২০ লাখ মানুষ বর্তমানে ইসরায়েলে বসবাস করছেন। এটি এখন প্রায় রুশভাষী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, রাশিয়ার সমসাময়িক ইতিহাসে আমরা সবসময় বিষয়টি বিবেচনায় রাখি।’
বিজ্ঞাপন
পুতিন সেই সমালোচকদেরও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যারা মিত্রদের প্রতি রাশিয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের ‘উস্কানিদাতা’ বলে অভিহিত করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
আরব এবং ইসলামী দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উল্লেখ করে পুতিন আরও বলেন, রাশিয়ার জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মুসলিম। এছাড়াও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) একজন পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে রাশিয়া।
বিজ্ঞাপন
এর আগে পুতিন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, ‘আমার একটি উপকার করুন, প্রথমে আপনারা নিজেদের (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) মধ্যস্থতা করুন। আপনি পরে এই বিষয়ে চিন্তা করতে পারেন।’
সূত্র: তাস, এনডিটিভি
এমএইচআর

