রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কাতারের দোহায় বিস্ফোরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৫, ১০:১১ এএম

শেয়ার করুন:

‘প্রতিশোধ কতটা তীব্র হবে, তা নির্ধারণ করবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী’

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে ভয়াবহ সংঘাত। এবার সেই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, এই আঞ্চলিক যুদ্ধ ধীরে ধীরে রূপ নিতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে!

মূলত, সবকিছুর সূচনা গত ১৩ জুন। সেদিন ইরানের একাধিক পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপরই দ্রুত বদলে যেতে থাকে পরিস্থিতি। এখন আর এই লড়াই শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। তেলের বাজারে অস্থিরতা, আকাশপথে বাধা, নিরাপত্তা সতর্কতা— সব মিলিয়ে এক অজানা আতঙ্ক ঘিরে ফেলেছে বিশ্বকে। চলমান এই সংঘাত কতদূর গড়াবে, কী ঘটতে যাচ্ছে সামনে— জানতে চোখ রাখুন ঢাকা মেইলের লাইভ আপডেটে...

  1. কাতারের দোহায় বিস্ফোরণ

    কাতারের রাজধানী দোহায় বেশ কয়েকটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং আকাশে বিশাল অগ্নিশিখা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। 

    ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারে ইরানে এমন আশঙ্কায় আগেই কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে নিজেদের দেশের আকাশসীমায় সবধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।

  2. ইরানের হামলার আশঙ্কায় আকাশসীমা বন্ধ করল কাতার

    ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারে ইরান—এমন আশঙ্কায় নিজেদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কাতার।

    বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এর মধ্যে কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিমান ঘাঁটি (আল উদেইদ) অবস্থিত, যেখানে প্রায় ১০ হাজার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে এবং এটি মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড বা সেন্টকমের মধ্যপ্রাচ্যের সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে।

    এর আগে, কাতারে অবস্থিত মার্কিন এবং ব্রিটিশ দূতাবাস বিবৃতি জারি করে কাতারে অবস্থিত তাদের নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ হিসেবে 'ব্যাপক সতর্কতা' অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। অন্য আর কোন বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।

    এদিকে কাতারের বেশ কয়েকটি স্কুল আগামীকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

     

  3. ইরান অবশ্যই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না: ন্যাটো

    ইরান যাতে কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট— ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো।

    সোমবার (২৩ জুন) নেদারল্যান্ডের হেগে সামিট চলার সময়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট। 

    তিনি বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে ন্যাটোর অবস্থানের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, ইরান অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না, এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একমত হয়েছে জোটের সদস্যরা।’

    ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য মিত্ররা বারবার ইরানকে আহ্বান করেছে।’

    ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইরান সেখানে গুরুতরভাবে জড়িত। ইরান এমন ড্রোন সরবরাহ করেছে যা রাশিয়া ইউক্রেনিয়ান বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করতে ব্যবহার করছে।’

  4. জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ড্রোন বিধ্বস্ত

    ইরান-ইসায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যেই জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। 

    জর্ডানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পেত্রা জানিয়েছে, দক্ষিণ আম্মানের উম উথাইনা এলাকায় একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে, যার ফলে একটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ড্রোনটি কোথা থেকে ছোড়া করা হয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়।

  5. কাতারে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

    কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দোহার মার্কিন দূতাবাস। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর ইরানের হুমকির মধ্যেই এ সতর্কবার্তা এলো। 

    সোমবার (২৩ জুন) বিকালে মার্কিন নাগরিকদের কাছে দূতাবাসের পাঠানো এক ইমেল বার্তায় বিস্তারিত তথ্য প্রদান না করেই বলা হয়েছে, ‘উচ্চ সতর্কতার কারণে’ এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    কাতারে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিমান ঘাঁটি (আল উদেইদ) অবস্থিত, যেখানে প্রায় ১০ হাজার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে এবং এটি মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড বা সেন্টকমের মধ্যপ্রাচ্যের সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে।

     

  6. সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

    সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় হাসাকাহ প্রদেশে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছ।

    ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিরিয়ায় একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলার লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় হাসাকাহ প্রদেশের কাসরুক এলাকায় অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। তবে কোথা থেকে হামলা হয়েছে, এ বিষয়ে সংবাদ সংস্থাটি বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানায়নি।

    ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে ইরান—  এমন আশঙ্কার মধ্যেই এই হামলার খবর এলো। 

    বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—ইরাক, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান ও সিরিয়া।

    এর আগেও, এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। ২০২০ সালে ইরাকে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। সেই হামলা ছিল মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার প্রতিশোধ।

  7. ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট

    ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

    ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশন (আইইসি) নিশ্চিত করেছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র কৌশলগত অবকাঠামো স্থাপনায় সরাসরি আঘাত হানে। এর ফলে আশপাশের বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।

    আইইসি বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে তাদের দলগুলো বেশ কয়েকটি স্থানে কাজ করছে। 

    এরআগে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে এবং নাগরিকদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। 

    iran1
    ইসরায়েলে নতুন হামলা ইরানের
  8. যুক্তরাষ্ট্রকে অপ্রত্যাশিত পরিণতি ভোগ করতে হবে: আইআরজিসি

    ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অপ্রত্যাশিত পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।

    সোমবার (২৩ জুন) আইআরজিসির মুখপাত্র ইব্রাহিম জোলফাঘারি এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন।

    তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেছে এবং ইরানের “পবিত্র মাটিতে” আঘাত করেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ভয়াবহ, অনুশোচনা করার মতো, অপ্রত্যাশিত পরিণতি ভোগ করতে হবে, যা হবে শক্তিশালী ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক অভিযানের মাধ্যমে।’

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে জোলফাঘারি আরও বলেন, ‘জুয়ারি ট্রাম্প আপনি এই যুদ্ধ শুরু করতে পারেন, কিন্তু শেষ করবো আমরা!’

  9. ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১০ আইআরজিসি সদস্য: আল জাজিরা

    ইরানের অভ্যন্তরে চালানো সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তেহরান-ঘনিষ্ঠ একটি সংবাদমাধ্যম। রোববার ইরানের ইয়াজদ প্রদেশে এই হামলা হয়।

    আধা–সরকারি ইরানি সংবাদ সংস্থা তাসনিম-এর বরাতে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা এই তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে এ হামলায় আহতের সংখ্যা নিয়ে তাসনিম কিছু জানায়নি।

    এদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ১৩ জুন থেকে ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান চালাচ্ছে। এসব অভিযানে এখন পর্যন্ত ইরানের কয়েকজন সামরিক কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তেল আবিব।

    বিগত সময়েও মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন সশস্ত্র সংঘাতে ইসরায়েল ও ইরান পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। তবে ইরানের ভেতরে সরাসরি এ ধরনের হামলার ঘটনা অঞ্চলটিতে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    এই হামলা নিয়ে ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

  10. প্রতিশোধ কতটা তীব্র হবে, তা নির্ধারণ করবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী: জাতিসংঘে হুঁশিয়ারি

    যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে ‘বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অজুহাতে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে’— এমন অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি।

    রোববার (২২ জুন) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি। এ বৈঠক আহ্বান করে ইরান। ইরাভানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালিয়েছে, তা ইরানের ওপর একটি স্পষ্ট আগ্রাসন। আর আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে আত্মরক্ষা ইরানের অধিকার।

    তিনি জানান, এই আগ্রাসনের ‘উপযুক্ত জবাব’ দেবে ইরান। তবে প্রতিশোধ কখন, কীভাবে এবং কতটা তীব্র হবে— সে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের সশস্ত্র বাহিনী।

    ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ইরানি প্রতিনিধি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেন, নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রকে একটি ‘ব্যয়বহুল ও ভিত্তিহীন যুদ্ধে’ জড়িয়েছে।

    ইরাভানি আরও বলেন, ইসরায়েল বারবার একটি ‘ভুয়া গল্প’ প্রচার করছে যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তিনি এই প্রচারকে ‘মিথ্যা ও প্রতারণামূলক’ বলে অভিহিত করেন।

    তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ কিছু পশ্চিমা দেশের ‘নীরবতা ও দ্বিমুখী আচরণ’ও সমানভাবে নিন্দনীয়।

    জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইরাভানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে অবশ্যই এই হামলার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

    নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে চীন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরাও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানান। রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেন, এ ধরনের হামলা সম্পূর্ণ ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’। চীনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।

    এদিকে, ইরানের বর্তমান শাসনব্যবস্থা নিয়ে আবারও কটাক্ষ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ইরান যদি আবার মহান হতে না পারে, তাহলে কেন সেই শাসনব্যবস্থা বদলানো হবে না?

    তিনি আরও বলেন, যদিও ‘শাসন পরিবর্তন’ শব্দটি রাজনৈতিকভাবে খুব জনপ্রিয় নয়, তবুও বাস্তবতা যদি এমন হয়, তাহলে তা কেন হবে না?

    পোস্টের শেষে ট্রাম্প লেখেন, MIGA!!! অর্থাৎ— Make Iran Great Again। এটি তার পরিচিত স্লোগান Make America Great Again বা MAGA-এর অনুকরণে তৈরি।

  11. ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

    ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    সোমবার (২৩ জুন) স্থানীয় সময় বিকেলে হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে জাতীয় নিরাপত্তা দলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

    সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার রাতে হোয়াইট হাউজ থেকে প্রকাশিত প্রেসিডেন্টের সময়সূচিতে বৈঠকের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

    এই বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ইরানের ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় চালানো হামলার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছে ওয়াশিংটন।

    এর মধ্যেই ট্রাম্প ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি তারা তাদের নীতিতে পরিবর্তন না আনে, তবে দেশটিতে ‘শাসন পরিবর্তন’ ঘটতে পারে।

    একই দিন নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প ইরানের বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

    তিনি লেখেন, শাসন পরিবর্তন শব্দটা রাজনৈতিকভাবে হয়তো সঠিক নয়, কিন্তু যদি ইরানের বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে এগিয়ে নিতে না পারে, তাহলে পরিবর্তন কেন আসবে না?

    পোস্টের শেষে ট্রাম্প লেখেন, ‘MIGA!!!’ অর্থাৎ Make Iran Great Again— তার বিখ্যাত স্লোগান Make America Great Again (MAGA)-এর রূপান্তর।

  12. ইসরায়েলে নতুন করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

    ইরান নতুন করে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী—আইডিএফ।

    সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ইরান থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশে শনাক্ত হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সতর্ক সংকেত বাজতে শুরু করে।

    আইডিএফ জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গেই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয় এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ইসরায়েলের জরুরি চিকিৎসাসেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের একজন মুখপাত্র জানান, সতর্কসংকেত শুনে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় একজন পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। তবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

    একজন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে প্রতিহত করেছে।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র জেরুজালেমের আকাশপথে উড়ছে। এ সময় শহরজুড়ে বাজতে থাকে সতর্ক সংকেত। লোকজন দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছিল। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বাসিন্দাদের জানানো হয়— চাইলে তারা আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ করতে পারেন।

  13. ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া যাবে না—স্টারমার ও ট্রাম্পের টেলিফোনে ঐকমত্য

    মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলোচনায় দুই নেতা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য ‘গভীর হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

    ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, লন্ডনের স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় এই ফোনালাপ হয়। এতে স্টারমার ও ট্রাম্প একমত হন যে, ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সুযোগ দেওয়া যাবে না।

    তারা মনে করেন, ইরানের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ ও হুমকির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ ছিল। এতে হুমকি কমে আসবে বলেও তারা আশা প্রকাশ করেন।

    বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই নেতাই বিশ্বাস করেন— চলমান উত্তেজনা থেকে বের হতে হলে আলোচনায় ফিরতে হবে। তাই তারা ইরানকে দ্রুত কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানান।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্টারমার ও ট্রাম্প ভবিষ্যতেও ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ বজায় রাখবেন। তারা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে অঙ্গীকার করেন।

  14. ইরানে অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা, নিহত ৩

    ইরানের মধ্যাঞ্চলে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক, এক রোগী এবং তার একজন স্বজন।

    স্থানীয় সময় রোববার এই হামলার ঘটনা ঘটে। ইরানি সংবাদ সংস্থা ইসনা জানায়, নাজাফাবাদ কাউন্টিতে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরের সময় এ হামলা হয়।

    নাজাফাবাদ কাউন্টির গভর্নর হামিদরেজা মোহাম্মদি ফেসহারাকি বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে গাড়িটি প্রায় পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।

    তিনি জানান, ড্রোন হামলার পর চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ফলে অ্যাম্বুলেন্সটি আরেকটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন প্রাণ হারান।

    উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ও মানবিক উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে।

  15. ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ‘স্মরণীয় ক্ষতি’ হয়েছে: ট্রাম্প

    মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইরান ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি গোপন রাখতে চাইলেও সত্য আড়াল করা যায়নি।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, স্যাটেলাইট ছবি বলছে— ইরানের স্থাপনাগুলোতে ‘স্মরণীয় ক্ষতি’ হয়েছে। তার ভাষায়, "ধ্বংস" শব্দটিই এই ঘটনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।

    তিনি আরও জানান, হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভূগর্ভস্থ অংশে। এটিকে তিনি ‘বুলসআই’ হিসেবে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ, আঘাতটি ছিল সঠিক জায়গায় এবং কার্যকরভাবে। তবে ক্ষয়ক্ষতির অনেক কিছুই খালি চোখে বোঝা সম্ভব নয়।

    আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান এখনো এই হামলার ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। তবে স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় অন্তত দুটি বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি বাংকার বাস্টার বোমা দ্বারা সৃষ্টি।

    এছাড়া, ফরদো স্থাপনার একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর