রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করল পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম

শেয়ার করুন:

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করল পাকিস্তান

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে ইরানের সঙ্গে সব সীমান্ত ক্রসিং এবং বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। এতে সীমান্তের উভয় পাশে শত শত মানুষ আটকা পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।

পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের মধ্যে ৯০৯ কিলোমিটার (৫৬৫ মাইল) সীমান্ত রয়েছে, যা পাকিস্তানের বেলুচিস্তানকে ইরানের সিস্তান-বালুচেস্তান প্রদেশ থেকে পৃথক করে। দুই দেশের সংযোগকারী বেশ কয়েকটি স্থল সীমান্ত ক্রসিংয়ের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল- চাঘাই জেলার তাফতান সীমান্ত ক্রসিং এবং বেলুচিস্তানের গোয়াদর জেলার গাবদ-রিমদান সীমান্ত।


বিজ্ঞাপন


বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শহীদ রিন্দ বলেন, ‘প্রথমে ইরানের পক্ষ থেকে দুইদেশের মধ্যে সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতেই সীমান্ত ক্রসিংয়ে বাণিজ্য এবং যাত্রী চলাচল বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।

তবে ইরানে আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের ফিরে আসার জন্য ক্রসিংগুলো উন্মুক্ত থাকবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইরানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রথম দল, যাদের বেশিরভাগই তীর্থযাত্রী এবং শিক্ষার্থী, সোমবার রাতের মধ্যে তাফতান ক্রসিং দিয়ে ফিরে আসার কথা রয়েছে।

এদিকে পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র সোমবার জানিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার পর বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা ইতিমধ্যেই পাকিস্তান থেকে ইরানের বেশ কয়েকটি শহর এবং ইরাকে পরিচালিত সমস্ত নির্ধারিত ফ্লাইট স্থগিত করেছে।

সীমান্ত বন্ধের ফলে উভয় দেশের দিনমজুর, শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন


বিজ্ঞাপন


রোববার (১৫ জুন) থেকে কার্যকর হওয়া এই বন্ধের ফলে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় খাদ্য ও তেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। প্রদেশটি ইরানের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে খাদ্য সরবরাহ এবং পাচার হওয়া তেলের ওপর নির্ভরশীল।

ইরানের সঙ্গে বেলুচিস্তানের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো, যার মধ্যে রয়েছে তুরবাত, গোয়াদর, পাঞ্জগুর, চাঘাই, ওয়াশুক এবং মাশকাইল- ইরান থেকে তাজা শাকসবজি এবং ফলসহ বেশিরভাগ খাদ্যদ্রব্য আসে, যা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। 

এছাড়াও সীমান্ত বন্ধের ফলে এসব জেলার দিনমজুর, শ্রমিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যারা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সীমান্ত ক্রসিংয়ের ওপর নির্ভরশীল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তার মতে, গাবদ-রিমদান ক্রসিং দিয়ে সীমিত পরিসরে বাণিজ্য কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে মাকরান, রাখশান এবং চাঘাই অঞ্চল দিয়ে ইরানি চোরাচালান তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটার বাসিন্দারা জ্বালানি ঘাটতির অভিযোগ করেছেন।

তবে বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র রিন্দ বলেছেন, প্রদেশে জ্বালানির কোনো ঘাটতি নেই, কারণ কোয়েটায় বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্প খোলা রয়েছে।

তিনি বলেন, যারা চোরাচালানকারী ইরানি জ্বালানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চান, তারা তথাকথিত ঘাটতিকে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরছেন।

সূত্র: ডন, আনাদোলু


-এমএইচআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর