ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক ঘাঁটিসহ ইসরায়েলের কমপক্ষে ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
শনিবার (১৪ জুন) ভোরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কথা বলার সময় আইআরজিসির প্রধান কমান্ডারের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ ওয়াহিদি এ তথ্য জানান। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ডিভিশন পরিচালিত অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩ অভিযানের প্রথম ধাপ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে’।
ইসরায়েলের কৌশলগত ওইসব লক্ষ্যবস্তুতে একাধিকবার সফলভাবে আঘাত করা হয়েছে বলেও জানান সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি প্রশাসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওয়াহিদি।
বিশেষ করে নেভাতিম বিমানঘাঁটি ও ওভদা বিমানঘাঁটির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসব ঘাঁটি অধিকৃত অঞ্চলের উত্তর-মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। এসব ঘাঁটিতে কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ইসরায়েলের ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কেন্দ্র ছিল। পাশাপাশি ইরানে যেসব ঘাঁটি থেকে আগ্রাসন চালানো হয়, তার মধ্যে এই দুটি ঘাঁটিও অন্যতম’।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া তেলআবিবের কাছে অবস্থিত ইসরায়েলের তেল নফ বিমানঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান ওয়াহিদি।

আইআরজিসি কমান্ডারের মতে, ইরানের প্রতিশোধের সময় ইহুদিবাদীদের সামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সামরিক-শিল্প কেন্দ্রগুলোতেও হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি শনিবার (১৪ জুন) ইসরায়েলে প্রায় শতাধিক ড্রোন ছুঁড়েছে তেহরান। হামলায় ‘আরাশ’ আত্মঘাতী ড্রোনও ব্যবহার করছে ইরানি সেনাবাহিনী।
এক বিবৃতিতে ইরানের সেনাবাহিনী বলছে, ‘আরাশ’ আত্মঘাতী ড্রোনগুলো ইসরায়েলের অধিকৃত অঞ্চলের আকাশসীমায় সফল অনুপ্রবেশ করেছে এবং তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে।
-এমএইচআর

