ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই নতুন বাজেটে প্রতিরক্ষা ব্যয় ২০ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দেশটির পার্লামেন্টে দেশটির অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বাজেটের ১৪ শতাংশ বা ২.৫৫ ট্রিলিয়ন রুপি (৯ বিলিয়ন ডলার) প্রতিরক্ষা ব্যয় ধরা হয়েছে, যা চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের (৩০ জুন শেষ হচ্ছে) ২.১২ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞাপন
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রায় তিন দশকের মধ্যে পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সবচেয়ে গুরুতর সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের পরিকল্পনাই বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদরা আগে থেকেই এবারের বাজেটে প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি আশা করেছিলেন। তারা বলেছেন, উন্নয়ন ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে এটি সম্ভবত পুষিয়ে নেওয়া হবে।
এমন সময়ে পাকিস্তানের এই বাজেট সামনে এলো, যখন পাকিস্তানের মাথায় রেকর্ড পরিমাণ ঋণের বোঝা রয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের ঋণ দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়া দেশটির কৃষিখাতের ভয়াবহ দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ খাতে প্রবৃদ্ধি নেমে গেছে ১ শতাংশেরও নীচে।
বিজ্ঞাপন
গত এপ্রিলে কাশ্মিরের পহেলগামের জঙ্গি হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। যদি ভারত এ বিষয়ে তার অবস্থানে অনড় থাকে, তাহলে পাকিস্তানে ভয়াবহ পানিসংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এমনটি হলে পাকিস্তানের কৃষিখাতের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
এদিকে ভারতও গত মার্চে বাস্তবায়িত ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা ব্যয় নির্ধারণ করেছে ৭৮.৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। ভবিষ্যতের বাজেটে এটি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার।
এমএইচআর
