সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সতর্ক তেহরান

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের দৃষ্টি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৫, ০১:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের দৃষ্টি

গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে মার্কিন গণমাধ্যম ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ইরানের পারমাণবিক ঘাঁটিগুলিতে ইসরায়েলের হামলার আশঙ্কা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

উঠছে আমেরিকা-ইরানের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের কথাও। ইসরায়েলের নজরে কি এবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা? এমনই আশঙ্কার কথা জানালেন আমেরিকার গোয়েন্দারা। 


বিজ্ঞাপন


সিএনএনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনারা ইরানের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে। 

তবে এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সরকার চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি-না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে সিএনএন জানিয়েছে, সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার আশঙ্কা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


তবে এই হামলার পরিকল্পনার নেপথ্যে কি পরোক্ষ ভাবে ইসরায়েল-আমেরিকার ‘বন্ধুত্ব’ কাজ করছে? অনেকের মতে, আমেরিকার সঙ্গে ইরান যদি পারমাণবিক চুক্তি করতে রাজি না হয়, তবে এই হামলা সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে।

জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’ (আইএইএ)-র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে বিধান ভেঙে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। 

তার পরেই ওয়াশিংটন পরমাণু চুক্তি নিয়ে চাপ বাড়িয়েছিল। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইরানের সঙ্গে ‘পরমাণু চুক্তি’ নিয়ে উৎসাহী।

তিনি বার বার তার নিজের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছেন। কখনো ধমকে-হুঁশিয়ারি দিয়ে, আবার কখনো সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব রেখে ইরানের সঙ্গে পরমাণু-কথা এগিয়ে নিয়ে যেতে চান ট্রাম্প। 

মার্চ মাসে ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনিকে চিঠি দিয়ে পরমাণু সমঝোতার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছিলেন। 

তবে ইরানও নিজেদের অবস্থানে অনড়। তাদের দাবি, ধমক বা হুঁশিয়ারি দিয়ে পরমাণু চুক্তি সই করানো যাবে না। আমেরিকার কাছে মাথা নত করবে না তারা।

আমেরিকা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তারা ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করতে দেবে না! ওয়াশিংটনের এই দাবি নতুন করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। 

মঙ্গলবার খামেনি আমেরিকার এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, ইরানের কেউ ওদের (আমেরিকা) অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে না। ইসলামি প্রজাতন্ত্র তার নিজস্ব নিয়ম অনুসরণ করে চলে। ভবিষতেও সেই নীতি মেনেই চলবে। 

উল্লেখ্য, পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই ইরান এবং আমেরিকা আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছে বার কয়েক। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধানসূত্র বের হয়নি। সেই আবহেই ইসরায়েলের হামলার সুযোগ খুঁজছে।

-এমএমএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর