রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কানাডার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

কানাডার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় বংশদ্ভূত অনিতা 

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক ক্র্যানির মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত দেশটির অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ অনিতা আনন্দ। 

৫৮ বছর বয়সী নারী মঙ্গলবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন, আর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি পেয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। খবর এনডিটিভির।


বিজ্ঞাপন


অনিতা যে এবারই প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য হলেন— এমন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছেন তিনি। সর্বশেষ সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দয়িত্বে ছিলেন অনিতা আনন্দ।

শপথগ্রহণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় অনিতা বলেন, কানাডার পররষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমাকে মনোনীত করায় আমি সম্মানিত। কানাডীয়দের জন্য একটি নিরাপদ ও অনুকূল বিশ্বের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর মার্ক ক্র্যানির নেতৃত্বে কাজ করব।

কানাডার অন্টারিও রাজ্যের ওকভিল থেকে নির্বাচিত হওয়া অনিতা আনন্দের জন্ম দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নোভা স্কটিয়াতে, ১৯৬৭ সালের ২০ মে। 


বিজ্ঞাপন


তার মা সরোজ ডি রাম পাঞ্জাব এবং বাবা এসভি আনন্দ তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ছিলেন। গত শতকের ষাটের দশকের প্রথম দিকে তারা কানাডায় থিতু হন।

১৯৮৫ সালে অনিতার বয়স যখন ১৮ বছর, সে সময় তার পিতা-মাতা নোভা স্কটিয়া থেকে অন্টারিওতে এসে স্থায়ী হন। 

অন্টারিও’র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশ্রাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি নেন অনিতা। 

এর পর কানাডার ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় এবং টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

১৯৯৫ সালে কানাডার আইনজীবী ও ব্যবসায়ী জন নলটনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অনিতা। এই দম্পতির চার সন্তান। সন্তানদের নিয়ে ওকভিলেই বসবাস করছেন অনিতা-জন দম্পতি।

ব্যক্তিগত জীবনে অনিতা আনন্দ হিন্দু ধর্মের অনুসারী। মঙ্গলবার যখন তিনি শপথ নেন, সে সময় তার হাতে ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গীতা।

কানাডার ইতিহাসে অনিতা আনন্দই প্রথম হিন্দু ধর্মাবলম্বী রাজনীতিবিদ, যিনি মন্ত্রিসভার টিকিট পেয়েছেন। ২০১৯ সালে প্রথমবার কানাডার মন্ত্রিসভায় প্রবেশ করেন তিনি।

-এমএমএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর