টানা কয়েক সপ্তাহের সংঘাত, গোলাগুলি ও উত্তেজনার পর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) রোববার (১১ মে) রাতটি ছিল একদম শান্ত।
সোমবার (১২ মে) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তারা এটিকে “সাম্প্রতিক দিনগুলোর মধ্যে প্রথম শান্ত রাত” হিসেবে উল্লেখ করেছে। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।
বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে গত মাসে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরপর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে কমছে স্বর্ণের দাম!
তবে গত সপ্তাহে টানা চারদিন ধরে উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় চলে। আর শনিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এনডিটিভিকে জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ও আন্তর্জাতিক সীমান্তজুড়ে রোববার রাতটি মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল। কোথাও কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি। সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এটিই প্রথম শান্ত রাত।
টানা কয়েকদিনের সংঘাতের পর ভারত ও পাকিস্তান একমত হয়—স্থল, আকাশ ও পানিপথে সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ থাকবে।
সিদ্ধান্তটি শনিবার বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হয়। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরই জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরসহ বিভিন্ন স্থানে এবং গুজরাটে ড্রোন দেখা যায় বলে অভিযোগ করে ভারত।
পরে শনিবার রাত ১১টার দিকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, যে সমঝোতায় সন্ধ্যায় পৌঁছেছিল ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মহাপরিচালকেরা, তা ‘বারবার লঙ্ঘন করেছে’ পাকিস্তান।
এটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এর ‘যথাযথ ও উপযুক্ত’ জবাব দিচ্ছে। অন্যদিকে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ভারতীয় এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। একইসঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধেও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে পাকিস্তান।
-এমএমএস

