জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে চালানো ‘অপারেশন সিন্দুরে’ তাদের ভাষায় ‘একশোরও বেশি সন্ত্রাসবাদী’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত।
রোববার (১১ মে) সন্ধ্যায় ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) লে. জেনারেল রাজীব ঘাই দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন। গতকাল (শনিবার) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সমঝোতা হওয়ার পর ভারতের সামরিক বাহিনীর তরফে এটাই ছিল প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন।
বিজ্ঞাপন
এই প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিজিএমও লে. জেনারেল রাজীব ঘাই ছাড়াও ভারতের স্থলবাহিনীর তরফে মেজর জেনারেল এস এস সারদা, বিমান বাহিনীর তরফে এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী এবং নৌবাহিনীর তরফে ভাইস অ্যাডমিরাল এ এন প্রমোদ উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিন্দুরে’র নানা দিক নিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।
লে. জেনারেল রাজীব ঘাই বলেন, ৭ মে ভারতীয় সেনা সঠিক নিশানায় কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের ডেরায় হামলা চালিয়েছিল। এই হামলায় শতাধিক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ইউসুফ আজহার, আবদুল মালিক রউফ এবং মুদসসির আহমেদ-এর মতো ‘হাই ভ্যালু টেররিস্ট’ও আছে।
তিনি আরও দাবি করেন, এই তিন ব্যক্তিই ১৯৯৯ সালে আইসি-৮১৪ বিমান অপহরণ আর ২০১৯-এ পুলওয়ামার হামলায় জড়িত ছিল।
বিজ্ঞাপন
কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতের গোলাবর্ষণে পাকিস্তানের ‘অন্তত ৩৫ থেকে ৪০জন’ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সশস্ত্র বাহিনীর ৫ জন সহকর্মীকে হারিয়েছি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী বলেন, পাকিস্তানি ড্রোন ভারতীয় বিমানবাহিনীর অনেকগুলো স্থাপনাকে নিশানা করলেও সেই হামলার সবগুলোই ইন্টারসেপ্ট করা সম্ভব হয়েছে এবং জমিতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়, আরব সাগরে তাদের বহর অভিযানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল এবং পাকিস্তানের করাচি বন্দর ছিল তাদের অন্যতম ‘টার্গেট অপশন’।
এফএ

