ভারত গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে অপারেশন 'সিঁদুর' নামে পাকিস্তানে যে সামরিক অভিযান শুরু করেছে, কার পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইসলামাবাদ।
তবে, শনিবার ভোর থেকে ‘বুনিয়ান-উন-মারসূস’ নামে একটি বৃহত্তর সামরিক অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তান। খবর দ্যা ট্রিবিউন এক্সপ্রেসের।
বিজ্ঞাপন
ভারতের পাঞ্জাবের আদমপুরে এই অভিযানে দেশটির মোতায়েন করা রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক একটি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
দেশটির নিরাপত্তা সূত্রের মতে, জেএফ-১৭ থান্ডার বিমান থেকে নিক্ষেপ করা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে এবং ধ্বংস করা হয়েছে।
রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০, বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে উন্নত দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (এসএএম) ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির মতে, এই ব্যবস্থাটি বিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রতিহত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তিনটি উপাদান রয়েছে-ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার, একটি শক্তিশালী রাডার এবং একটি কমান্ড সেন্টার। এটি বিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং মধ্যবর্তী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে সক্ষম।
এছাড়া প্রায় এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে এবং প্রায় সমস্ত আধুনিক যুদ্ধবিমানকে আঘাত করতে পারে।
এর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যাতে তারা পাঁচটি এস-৪০০ বিমান আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ভারতের সেই অভিযানের পালটা জবাব হিসেবে গতকাল শনিবার ভোর থেকে ‘বুনিয়ান-উন-মারসূস’ নামে অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান।
দেশটির সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারগুলোয় অভিযান চালিয়েছে।
অন্যদিকে, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের এস-৪০০ ধ্বংসের খবরটি সঠিক নয়।
-এমএমএস