বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ঢাকা

ভারতের ব্রাহ্মোস মিসাইলের মজুত ধ্বংস করল পাকিস্তান, আরও যা ক্ষতি হলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

brahmos missile destroyed by pakistan military
ব্রাহ্মোস মিসাইলের মজুত ধ্বংসের পর আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় দূরদূরান্ত থেকে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে ভারতের বিয়াস অঞ্চলে ‌দূরপাল্লার অত্যাধুনিক ব্রাহ্মোস মিসাইলের ডিপো (সংরক্ষণাগার উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এছাড়া, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ভারতের উধমপুর বিমানঘাঁটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস ও পাঠানকোটের বিমানঘাঁটি অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্র।

একইসঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যদি দেশটি জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তাদের অর্থনৈতিক সম্পদগুলোও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে।


বিজ্ঞাপন


শনিবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জেরে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

ভারত পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি, সরকোটের রফিকি বিমান ঘাঁটি এবং চকওয়ালের মোরাইদ ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরপরই ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’ নামে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অভিযানের অংশ হিসেবে, ভারতের জি-টপ-এ অবস্থিত ব্রিগেড সদর দফতরও ধ্বংস করা হয়েছে। একইসঙ্গে, উরিতে অবস্থিত একটি রসদ ডিপো সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। যার ফলে ভারতের সামরিক রসদের যোগানব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, আদমপুর বিমানঘাঁটি—যেখান থেকে অমৃতসরের শিখ-জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল, চলমান প্রতিশোধমূলক হামলায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে।

pakistan_missile_attack_2
ভারতের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। শনিবার ভোরের দৃশ্য

 

নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একাধিক উচ্চ-মূল্যের লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে আঘাত হানা হচ্ছে এবং শত্রুপক্ষের অবস্থানে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব সতর্ক করেছে যে, পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক অভিযানের জবাবে যদি ভারত আর কোনো পদক্ষেপ নেয়, তবে উচ্চ-মূল্যের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হবে।

তারা আরও জানায়, ভারত পাল্টা আক্রমণ চালালে তার অর্থনৈতিক সম্পদগুলোও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। ভারতকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করা হয়েছে যে, যেকোনো অতিরিক্ত উসকানির পরিণতি হবে অত্যন্ত গুরুতর।

আরও পড়ুন-

পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে পাকিস্তান

এদিকে, ভারতজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের খবর পাওয়া গেছে, এবং দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অন্ধকার নেমে এসেছে। নিরাপত্তা সূত্র অনুযায়ী, একটি সাইবার হামলার মাধ্যমে ভারতের প্রায় ৭০% বিদ্যুৎ গ্রিড অবকাঠামো অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

ভারতীয় অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (IIOJK) এর মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ রাজৌরিতে একজন শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন, যিনি পাকিস্তানের মর্টার হামলার কারণে নিহত হয়েছেন।

এর আগে পাকিস্তান ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ভারতের কিছু মিসাইল তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান। কিন্তু ঘাঁটির কোনো সম্পদ (বিমান বা অন্যান্য জিনিস) ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি৷

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর