সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বাংলাদেশের বাঁধ নির্মাণে ভারতের উদ্বেগ, সীমান্তে প্রতিনিধি দল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বাংলাদেশের বাঁধ নির্মাণে ভারতের উদ্বেগ, সীমান্তে প্রতিনিধিদল

দক্ষিণ ত্রিপুরার বেলোনিয়া শহরের বিপরীতে মুহুরী নদীর পাশে বাংলাদেশ সরকারের নির্মাণাধীন বাঁধের কারণে সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে জানতে সীমান্তে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। রোববার (২০ এপ্রিল) দেশটির সীমান্ত শহর বেলোনিয়া পরিদর্শন করে সরেজমিনে সমীক্ষা চালায় তারা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।


বিজ্ঞাপন


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রিপুরা জনকর্ম বিভাগের সচিব কিরণ গিতের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো পরিদর্শনের পর স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বেলোনিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যানসহ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

পরবর্তীতে কিরণ গিতে জানান, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সদর বেলোনিয়া শহর, আশপাশের গ্রাম ও বসতিগুলোকে রক্ষা করার জন্য বাঁধ নির্মাণসহ অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং চলমান কাজ আরও জোরদার করা হবে।

ত্রিপুরা জনকর্ম বিভাগের সচিব বলেন, ‘এই বছরের জুন মাসের মধ্যেই সমস্ত মেরামতের কাজ ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শেষ হবে। কাজ চলবে দিনরাত। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় কাজের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় সেখানে অতিরিক্ত পাঁচজন প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়া হবে।’

২০২৪ সালের আগস্টে বিধ্বংসী বন্যা ও ভূমিধসের সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর অনেক নদীর বাঁধ ও অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকার বিভিন্ন জেলায় এরকম ৪৩টি জায়গা চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরাও রয়েছে বলে জানান ওই আইএএস কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, অবকাঠামো মেরামতের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। ওই সময় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


বাংলাদেশ সরকার দক্ষিণ ত্রিপুরার বেলোনিয়া শহরের বিপরীতে আরেকটি বড় বাঁধ নির্মাণ করছে, যা বর্ষাকালে বন্যার সময় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বাসিন্দারা।

বেলোনিয়া পৌরসভার অধীনস্থ এলাকাগুলো এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বল্লামুখ, ঈশান চন্দ্রনগর ও আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা বাংলাদেশের এই বিশাল বাঁধ নির্মাণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এর আগে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্তর ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার সীমান্তে একই ধরনের বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল, যা বর্ষাকালে কৈলাসহর শহর ও সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর