বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বাঁচার আকুতি ইসরায়েলি জিম্মির, ভিডিও প্রকাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

বাঁচার আকুতি ইসরায়েলি জিম্মির, ভিডিও প্রকাশ

গাজায় বন্দি ইসরাইলি জিম্মি এলকানা বোহবোটের তৃতীয় ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। 

এতে তাকে একটি টেলিফোন কলে নিজের পরিবারের উদ্দেশে কথা বলতে এবং তাদের কাছে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে বলতে শোনা গেছে। 


বিজ্ঞাপন


রোববার (২০ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরাইলের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। 

ভিডিওতে এলকানা বোহবোট বলেছেন, ‘আমার জন্য সবকিছু করতে থাকো!’

তিনি বলেন, আমি রাষ্ট্রের কাছে আবেদন করছি, সরকারের কাছে আবেদন করছি, সবার কাছে আবেদন করছি।

বোহবোট আরও বলেছেন, আমার স্বাস্থ্য ভালো নেই। আমি ভয় পাচ্ছি, যে কোনো সময় বিমান হামলায় মারা যাবো।


বিজ্ঞাপন


হামাস ভিডিওটি এমন সময়ে প্রকাশ করলো যখন তারা ইসরায়েলের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখান করার পর নেতানিয়াহু ইসরাইলি বাহিনীকে হামাসের ওপর চাপ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

হামাস বলেছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে তারা অবশিষ্ট বন্দিদের একবারে মুক্তি দিতে ইচ্ছুক। গাজায় এখনো পায় ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২৪ জন এখনো জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এতে নিহত হন কমপক্ষে ১২০০ জন। পাশাপাশি আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় তারা।  

হামাসের এই হামলার প্রতিবাদে ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। 

দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এটি ছিল তিন পর্বের। 

প্রথম পর্বে ছিল যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় শুরু করা, দ্বিতীয় পর্বে ছিল জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের কাজ শেষ করা এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, তৃতীয় পর্বে ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন।

তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ না করে গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। 

ইসরায়েলের ফের শুরু করা এই হামলায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

এছাড়া অভিযান শুরুর পর থেকে উপত্যকাটিতে খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দখলদার বাহিনী।

-এমএমএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর