শুল্কযুদ্ধের আবহে আবার বেজিয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার চীনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করার বার্তা দিয়েছে!
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট মঙ্গলবার ট্রাম্পের ‘কড়া অবস্থানের’ ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়েছিলেন, আমেরিকার পণ্যের উপর চীন প্রতিশোধমূলক শুল্ক বসানোর যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রত্যাহার করা না হলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এবার সেই পথেই হাঁটার হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্কের মোকাবিলা করতে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হতে পারে।
ট্রাম্প আমদানিকৃত চীনা পণ্য থেকে ‘জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি নিয়ে অনুসন্ধানের কথা ঘোষণার পরেই এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হল।
কোবাল্ট, লিথিয়াম এবং নিকেল, এবং স্মার্টফোন এবং ব্যাটারি (বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য) তৈরিতে ব্যবহৃত বিরল ধাতুর (সামারিয়াম, ডোলিনিয়াম, টারবিয়াম, ডিসপ্রোসিয়াম, লিউটেনিয়াম, স্ক্যানডিয়াম, ইট্রিয়ামমের মতো প্রায় ১৭টি ‘আর্থ মেটাল’) পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জাম আমেরিকায় রফতানির ওপরও চীন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
বিজ্ঞাপন
নয়া শুল্কনীতি নিয়ে টানাপড়েনের আবহে গত ৯ এপ্রিল ট্রাম্প অন্য দেশের বাড়তি শুল্ক স্থগিত রাখলেও, চীনের ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছিলেন। ১০ এপ্রিল তিনি শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করেন।
পাল্টা হিসেবে ১২ এপ্রিল আমেরিকার পণ্যে শুল্ক ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছিল চীন। মঙ্গলবার ব্লুমবার্গ প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়, আমেরিকার সংস্থা বোয়িংকে নতুন বিমান সরবরাহের ক্রয়াদেশ না দেওয়ার জন্য সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং সরকার নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলিকে। ঘটনাচক্রে, এর পরেই শুল্ক আরও বাড়ানোর বার্তা দিল ওয়াশিংটন।
-এমএমএস