ভারতের কথিত ধর্মগুরু ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং আবারও প্যারোলে ছাড়া পেয়েছেন। ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাম রহিম মোট ১৪২ দিন প্যারোলে মুক্তি পেয়ে জেলের বাইরে ছিলেন।
গত এক বছরে পাঁচবার তার প্যারোল মঞ্জুর করেছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। আশ্রমের ভিতরে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৭ সালে দেশটির নিম্ন আদালতে ২০ বছরের সাজা খাটছেন এই ভণ্ড ধর্মগুরু।
বিজ্ঞাপন
তার বর্তমান ঠিকানা এখন হরিয়ানার রোহতকের সুনিয়া জেল। বুধবার সেই জেল থেকে বেরিয়ে তিনি সোজা চলে যান সিরসায় তার ডেরার সদর দফতরে।
হরিয়ানা সরকার তাকে আবারও ২১ দিনের জন্য জেলের বাইরে থাকার অনুমতি দিল। জানুয়ারির শুরুতেও রাম রহিম ৩০ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন।
গত এক বছরে চার মাসই প্যারোলে মুক্ত ছিলেন তিনি। পাঁচবার তার প্যারোল মঞ্জুর হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে ধরলে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩-তে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩২৬ দিন জেলের বাইরে ছিলেন রাম রহিম।
বিজ্ঞাপন
২০০২ সালে রাম রহিমের ডেরার রাজ্য কমিটির সদস্য রণজিৎ সিংহের খুনের মামলায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেও গত মে মাসে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট মুক্তি দিয়েছে রাম রহিমকে।
তবে আশ্রমের ভিতরে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৭ সালে নিম্ন আদালতে ২০ বছরের সাজা খাটছেন ডেরা প্রধান। তার বর্তমান ঠিকানা এখন হরিয়ানার রোহতকের সুনিয়া জেল। বুধবার সেই জেল থেকে বেরিয়ে তিনি সোজা চলে যান সিরসায় তার ডেরার সদর দফতরে।
আরও পড়ুন: নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে গভর্নরসহ নিহত ৯৮
জেলে থাকাকালীন রাম রহিমের ঘন ঘন প্যারোলে মুক্তি নিয়ে নানা সময়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বেশ কয়েকটি সংগঠন তার প্যারোলের বিরোধিতা করেছে বার বার। তবে হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে সিরসা এলাকায় রামরহিমের ডেরার প্রচুর সংখ্যক ভক্ত থাকার জন্য তিনি রাজনৈতিক দলগুলিরও ‘অনুগ্রহ’ পেয়ে থাকেন বলে একটি অংশের অভিযোগ।
২০১৭ সালে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রাম রহিম ডেরার সদর দফতরে যাওয়ার অনুমতি পেলেন।
বাকি সময় প্যারোলে জেলের বাইরে এলেও সিরসায় যাওয়ার অনুমতি ছিল না তার। সিরসার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরই বুধবার রাম রহিম তার ডেরায় যান।
-এমএমএস

