পানামা খালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবার মুখ খুলল আমেরিকা। পেন্টাগনের প্রধান তথা আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ জানান, বিশ্বের অন্যতম জলপথে চীনের ‘প্রভাব’-এর অবসান ঘটিয়ে আমেরিকা পানামা খাল ফিরিয়ে নেবে!
সম্প্রতি পানামা সফরে যান পিট। কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম আমেরিকার কোনো প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পানামায় গেলেন। সেখানে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
বিজ্ঞাপন
এতে আটলান্টিক এবং প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্তকারী গুরুত্বপূর্ণ জলপথে চীনের বিনিয়োগের বিষয়ে পিট গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
একই সঙ্গে পানামা খাল নিয়ে আলোচনা হয় তাদের। ওই বৈঠকের পর পেন্টাগন প্রধান জানান, পানামা বাহিনীর সঙ্গে মার্কিন সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে গভর্নরসহ নিহত ৯৮
পিটের কথায়, আমরা (পানামা এবং আমেরিকা) একসঙ্গে চীনের প্রভাব থেকে পানামা খালকে ফিরিয়ে আনব। তার পরামর্শ, ১৯৯৯ সালের পর আবার পানামার সঙ্গে নতুন চুক্তি পানামা খালে চীনের প্রভাব মুক্ত করবে!
বিজ্ঞাপন
পেন্টাগন প্রধান আরও বলেন, পানামা খাল চীন তৈরি করেনি। তারা এটা পরিচালনাও করে না। চীনকে এই খাল অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।
পানামা প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে পিট জানান, মুলিনো ‘চীনের হুমকি’ বুঝতে পেরেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পরই পানামা খাল দিয়ে যাওয়া আমেরিকান জাহাজগুলি থেকে অন্যায় ভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনীকে ‘চমৎকার’ বললেন মোদি!
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মাঝখান দিয়ে প্রশান্ত এবং আটলান্টিক মহাসাগরের সংযোগকারী এই গুরুত্বপূর্ণ খাল পরিচালনার ক্ষেত্রে চীন ‘প্রভাব’ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
গত শতকের গোড়ায় আমেরিকাই প্রশান্ত এবং আটলান্টিক মহাসাগরের সংযোগরক্ষাকারী এই খালটি খনন করেছিল। তাদের হাতেই পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ ছিল।
আরও পড়ুন: শমী কায়সার গ্রেফতার
পরে ১৯৯৯ সালে পানামার হাতে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছিল ওয়াশিংটন। ১৯৭৭ সালে আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের আমলে সই হওয়া চুক্তির ভিত্তিতেই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
তবে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই পানামা খাল নিয়ে সরব হন ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ওই খাল তারা ফিরিয়ে নেবেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা দিয়েছিল পানামা।
-এমএমএস

