সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভূমিকম্পে ব্যাংককে ধসে পড়ল বহুতল ভবন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ভূমিকম্পে ব্যাংককে ধ্বসে পড়ল বহুতল ভবন

শুক্রবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী যে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, তাতে প্রতিবেশি দেশ থাইল্যান্ডের ব্যাংককে নির্মাণাধীন একটি আকাশচুম্বী ভবন ধসে পড়েছে। এছাড়াও আরও অনেক জায়গায় অবকাঠামো ধসের খবর পাওয়া গেছে। এতে বহু মানুষ হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

ডয়েচে ভেলে, এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহুতল ভবনের ধ্বংসস্তূপে অন্তত ৪৩ জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন। ৩০ তলা বিশিষ্ট আকাশচুম্বী ভবনটি একটি সরকারি অফিসের কাজে নির্মাণ করা হচ্ছিল। 


বিজ্ঞাপন


Screenshot_2025-03-28_144914

বাং সু জেলার উপ-পুলিশ প্রধান ওরাপাত সুকথাই এএফপিকে বলেন, ‘আমরা অনুমান করছি যে শত শত মানুষ আহত হয়েছে। তবে আমরা এখনও হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারিনি।’

ভূমিকম্পের পর থাইল্যান্ডের স্টক এক্সচেঞ্জ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিছু মেট্রো এবং হালকা রেল লাইন স্থগিত করা হয়েছে।

Screenshot_2025-03-28_145750


বিজ্ঞাপন


ভূমিকম্পের পর ৬.৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী আফটারশকও অনুভূত হয়েছে। ফলে অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়।

মিয়ানমারের পাশাপাশি ভূমিকম্পে কেঁপেছে বাংলাদেশের রাজধানীর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা। এদিন দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় ভূকম্পন রেকর্ড হয়, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল সাত। তবে উৎপত্তিস্থলে এর মাত্রা ছিল ৭.৭। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

আরও পড়ুন-

ঢাকাসহ সারাদেশে ভূকম্পন অনুভূত

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওতে ব্যাংকের রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টগুলি তীব্রভাবে দুলতে দেখা গেছে এবং ভূমিকম্পের প্রভাবে ব্যাংককের বহুতল ভবনটি ভেঙে পড়ার মুহূর্তের দৃশ্য ধরা পড়েছে।

শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভব করার পর মানুষ ব্যাংককের রাস্তায় ছুটে বেরিয়ে আসেন। বহুতল ভবনের সুইমিং পুল থেকে পানি উপচে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

Screenshot_2025-03-28_144348

১ কোটি ৭০ লাখের বেশি লোকের বাসস্থান, বৃহত্তর ব্যাংকক মহানগর এলাকায় বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে, যেখানে বহুতল কনডোমিনিয়াম এবং হোটেলের বাসিন্দারা পালানোর জন্য সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসেছেন। ভূমিকম্পের পরের উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে অনেকেই বিকেলের রোদ থেকে রক্ষা পেতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।

পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়নের জন্য থাই প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা একটি জরুরি সভা ডেকেছেন।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু কাঠামো মাটিতে ধসে পড়েছে। প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরের ক্ষতির ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।

তবে, দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে আরও বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়নি।

ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর