আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের রাজ্যসভায় কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় আলোচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধের জবাব দেয়নি ভারত।
বিজ্ঞাপন
রাজ্যসভার সদস্য ড. জন বৃত্তাসের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতে আসার আগে করা অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের এই প্রত্যর্পণের জবাব ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।
রাজ্যসভার অধিবেশনে আইনপ্রণেতা বৃত্তাস পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে কি না; এর কারণ কী এবং ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া কী ছিল। তার প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং সংসদকে উপরোক্ত তথ্য জানান।
গত বছরের ডিসেম্বরে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আমরা আমাদের অবস্থান সম্পর্কে ভারতকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি। আমরা বলেছি, আমরা তাকে (শেখ হাসিনা) বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য ফেরত চাই।
বিজ্ঞাপন
বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যদের ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) যাদের বিচার চলছে, আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
এফএ