ভারতের মহারাষ্ট্রে একটি ট্রেনে আগুনের গুজব আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়া যাত্রীদের পিষে গেছে অন্য একটি ট্রেন। এতে ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজ্যেটির জলগাঁও জেলার পাচোরো এলাকার পারধাদে স্টেশনের কাছে এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভি। মুম্বাই থেকে দুর্ঘটনাস্থলটির দূরত্ব ৪০০ কিলোমিটারের বেশি।
বিজ্ঞাপন
বিশাল যাদব নামে একজন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ট্রেনের চালক ব্রেক কষলে কয়েকজন যাত্রী চাকায় আগুনের ফুলকি দেখেন। তার পরেই রটে যায়, গাড়িতে আগুন লেগেছে। তখন যাত্রীরা ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পাশের লাইনে নামতে থাকে।’’ যারা পাশের লাইনে নেমে পড়েছিলেন তাদেরকেই চাপা দিয়ে চলে যায় অন্য ট্রেন।
কেন চালক ব্রেক কষেছিলেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। রেলের একটি সূত্র বলছে, ট্রেনের চেন টানা হয়েছিল। সে কারণে যাত্রীরা নামার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু কেন চেন টানা হয়েছিল, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
যাদব জানিয়েছিলেন, গুজব শুনেও তিনিও নামতে গিয়েছিলেন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন। যাদবের কথায়, ‘‘আমরাও ট্রেন থেকে নামতে শুরু করেছিলাম। তখন দেখি উল্টো দিক থেকে পাশের লাইনে ট্রেন আসছে। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা। আমি সঙ্গে সঙ্গে আবার ট্রেনে উঠে পড়ার চেষ্টা করি। তাতেই আহত হয়েছি।’’
পিটিআইকে রেলের এক কর্মকর্তা জানান, পুষ্পক এক্সপ্রেসের একটি জেনারেল কামরা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল বলে শোনা যায়। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ‘ব্রেক বাইন্ডিং’-এর কারণে ওই ধোঁয়া বের হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
মহারাষ্ট্রের মু্খ্যমন্ত্রী এখন দাভোসে ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’-এর সম্মেলনে রয়েছেন। সেখান থেকেই মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। আহতদের চিকিৎসার ভারও তার সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এমআর