আজ, ২০ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে তার অভিষেক অনুষ্ঠান শুরু হবে। এর আগে, এই ঐতিহাসিক দিনটির জন্য রাজধানী জুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও হোয়াইট হাউজে বসতে যাচ্ছেন। একবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নির্বাচনে হারলেও এবার তিনি পুনরায় ক্ষমতায় আসছেন, যা মার্কিন ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। তাই তার অভিষেক অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকের মধ্যে আগ্রহ ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। এর আগের দিন আঁতশবাজি উৎসবের পর ট্রাম্প রোববার তার শেষ র্যালি করেন এবং সেখানে তিনি বলেন, “বিশ্ব এবার নতুন আমেরিকা দেখবে।”
বিজ্ঞাপন
ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে আছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মাইলি এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। চীন থেকে প্রতিনিধিত্ব করতে ওয়াশিংটনের অনুষ্ঠানে আসছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮৭৪ সালের পররাষ্ট্র দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এতদিন কেউ কখনও বিদেশি নেতা হিসেবে প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি, তাই এই অভিষেকও একটি বিরল ঘটনা।
২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন অনুপস্থিত, কিন্তু এবার তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বারাক ওবামা। এমনকি ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন।
এছাড়াও, ট্রাম্প প্রশাসন থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বেশ কয়েকজন প্রযুক্তি নেতা, যেমন টেসলার ইলন মাস্ক, মেটার মার্ক জাকারবার্গ, অ্যামাজনের জেফ বেজোস, অ্যাপলের টিম কুক, টিকটকের শু চিউ এবং গুগলের সুন্দর পিচাইকে। তবে সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এবং সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না।
বিজ্ঞাপন
বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও ট্রাম্পের ঐতিহাসিক অভিষেক অনুষ্ঠানটি হবে ১৯৮৫ সালের পর প্রথমবারের মতো ইনডোরে, কারণ ক্যাপিটল হিলের বাইরে এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। সত্ত্বেও, রাজধানী জুড়ে লাখো মানুষ উপস্থিত থাকবেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে।
এইউ

