কাতার এবং মিশরের তত্ত্বাবধানে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে হামাস, যার ফলে গাজা অঞ্চলে সহিংসতা কিছুটা প্রশমিত হতে পারে।
সূত্রের মতে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরাহমান বিন জাসিম আল থানি সম্প্রতি হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেন, যেখানে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি প্রাথমিক চুক্তি তৈরি হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রস্তাবিত চুক্তির মূল বিষয়গুলি
- কাতার এবং মিশর গাজা থেকে স্থানচ্যুতদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া তদারকি করবে।
- ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ধাপে ধাপে গাজার কেন্দ্রীয় নেতজারিম করিডোর থেকে প্রত্যাহার করবে।
- হামাসের দাবি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি সেনারা গাজা সীমান্ত থেকে ৭০০ মিটার (৭৬৬ গজ) দূরে চলে যাবে।
যুদ্ধবিরতির জন্য এই প্রস্তাবিত চুক্তি, যা এখন হামাসের পক্ষ থেকে অনুমোদিত হয়েছে, গাজার বাসিন্দাদের জন্য কিছুটা স্বস্তি আনতে পারে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি হামলা এবং বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছেন।
কাতার ও মিশরের প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যেই গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাত কমানোর জন্য তৎপরতা শুরু করেছে, তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং চূড়ান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আরও আলোচনা প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
হামাসের প্রতিক্রিয়া
হামাস একাধিক মিডিয়া আউটলেটকে জানিয়েছে যে, তাদের প্রতিনিধিদল কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন প্রদান করেছে।
একজন হামাস কর্মকর্তা বলেছেন, সংগঠনের নেতা খলিল আল-হায়া কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন পৌঁছে দিয়েছেন, এমনটি আল জাজিরা আরবিক এবং স্কাই নিউজ রিপোর্ট করেছে। বিবিসি-ও রিপোর্ট করেছে যে, হামাস কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, হামাস কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে যে তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে।
যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা সংঘাতে যুদ্ধবিরতির চুক্তি পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে লিখেন, ‘আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বন্দীদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি করেছি।’
তিনি আরও জানান ‘তারা শিগগিরই মুক্তি পাবে। ধন্যবাদ!’
তবে, এখনও পর্যন্ত কোনো সরকারি বিবৃতিতে এই চুক্তির বিস্তারিত বা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হয়নি।
—একেবি

