ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছেন, যাতে টিউলিপ সিদ্দিককে তার মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করে তার স্থানে অন্য কাউকে নিয়োগ দেন। এই বিষয়ে তদন্ত করছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক স্যার লরি ম্যাগনাস। অভিযোগ উঠেছে—টিউলিপ সিদ্দিক একটি ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে পেয়েছেন, যা একটি রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র আব্দুল মোতালিফ টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন। এই ফ্ল্যাটটি ব্যবহার করেও তা গোপন রাখা হয়েছিল। আরও একটি তথ্য সামনে এসেছে, যেখানে বলা হয়, মঈন গণি নামক একজন আইনজীবী টিউলিপের বোন আজমিন সিদ্দিক রূপন্তিকে একটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে রূপন্তি সেই ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে ব্যবহারের অনুমতি দেন। এই ফ্ল্যাটটি টিউলিপ সরকারি নথিতে তার ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মঈন গণিও শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সঙ্গী। এই ঘটনায় মোতালিফ ও গণির সঙ্গে শেখ হাসিনার ছবিও প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, তদন্তের মধ্যে টিউলিপ সিদ্দিক সোমবার স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, তিনি কোনো আইন ভাঙেননি এবং তদন্ত পুরোপুরি উন্মুক্ত। তার মতে, এই বিষয়ে কিছু ভুল হয়নি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস টিউলিপকে পদত্যাগ করতে এবং ক্ষমা চাইতে আহ্বান জানিয়েছেন। কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ স্যার কিয়ের স্টারমারের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেছেন, মিস সিদ্দিককে বরখাস্ত করা উচিত। ছায়া চ্যান্সেলর মেল স্ট্রাইডও একই মন্তব্য করেছেন, দাবি করেছেন যে টিউলিপ তার বর্তমান দায়িত্ব পালনে অক্ষম, কারণ তার বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
তবে, প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার টিউলিপের আত্মপক্ষ সমর্থনকে যথার্থ বলে মন্তব্য করেছেন এবং তার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী পিটার কিলি বলেছেন, যদি তদন্তে টিউলিপ দোষী প্রমাণিত হন, তবে তাকে সরকারের দায়িত্বে থাকতে দেওয়া যাবে না।
এইউ

