বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ঢাকা

তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে ১২৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০২ এএম

শেয়ার করুন:

তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে ১২৬

চীনের তিব্বতের পার্বত্য অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া এতে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। ভূমিকম্পে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর বাড়ি ভেঙেছে। ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) হতাহতের সংখ্যা ১২৬ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূমি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১ মাত্রা। উৎপত্তিস্থল ছিল তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৫০ মাইল পশ্চিমে ডিংরি কাউন্টি। লাসা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাৎসিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে ধর্মগুরু পাঞ্চেন লামার বাসস্থান।

চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে আটকাপড়া মানুষদের খুঁজে বের করার জন্য প্রায় দেড় হাজার অগ্নিনির্বাপক ও উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় উদ্ধারকাজ চালানো কঠিন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরে ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে প্রতিবেশী নেপাল, ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশ।

ভূমিকম্পের পর ধ্বংসাবশেষের চারপাশে দেয়াল ভেঙে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের সঙ্গে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িগুলো দেখা যাচ্ছে। ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চলে একাধিকবার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে। পরাঘাতের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।


বিজ্ঞাপন


এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর