সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ইস্যুতে একাধিক বিষয় সামনে এসেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুল তথ্য সবার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। যার ফলে নানা বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ভুল বোঝাবুঝির জায়গায় পতিত হচ্ছে বাংলাদেশ, প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ইসকনও। দ্য উইক ম্যাগাজিন ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ইসকনের কেন্দ্রীয় আধ্যাত্মিক নেতা ও ভারতের মুখপাত্র দেবশঙ্কর বিষ্ণু দাস।
বাংলাদেশে ইসকনের যাত্রা ও কর্মকাণ্ডে জোরপূর্বক কোনো শিথিলতা আনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা হাস্যকর। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে শুরু করে সেখানকার কেউ এক্ষেত্রে কোনো বাধা দেয়নি। ১৪০টি সেন্টারে আগের মতোই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু নিয়ে বৈশ্বিক হিন্দু সম্প্রদায়ের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে দেবশঙ্কর আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অপতথ্য খুব দ্রুত ছড়ায়। তবে মূলধারার গণমাধ্যমকে খবর বা তথ্য প্রচারে আরও সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় কিছু মানুষও ইচ্ছে করে গুজব তৈরি করছে বলেও অভিযোগ আনেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিজস্ব আইন আছে। আমরা নিয়মগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই বৈশ্বিক হিন্দু সম্প্রদায়কে এ বিষয়কে মনে রাখতে হবে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিষয়টি নিয়ে সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা দেন দেবশঙ্কর বিষ্ণু দাস। আধ্যাত্মিক এ নেতা বলেন, চিন্ময়কে প্রায় ৬ মাস আগে ইসকন থেকে বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি নিজের সংগঠনের প্রতিই মনোযোগী ছিলেন। তাই যে ব্যক্তি একটি শান্তিপ্রিয় ধর্মীয় সংগঠন থেকে বিতাড়িত, তার সম্পর্কে তথ্য প্রচারে ‘ইসকন’ শব্দটা ব্যবহার না করাই ভালো। এতে করে ১১০টি দেশে শান্তির পক্ষে কাজ করা ইসকনের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের পক্ষে এক আইনজীবী লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিলে, তিনি বাধার মুখে পড়েন- এমন কিছু তথ্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি আরও বলেন, এটি সঠিক নয়। যারা এ ধরণের তথ্য প্রচার করেছে তারা ভুল বার্তা দিয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু চিন্ময়ই না, যেকোনো মানুষ তা যে ধর্ম-বর্ণের হোক, তার আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচার পাওয়ার যোগ্য। তবে যেহেতু চিন্ময় দাস ইসকনের সদস্য নন, তাই ইসকনের কাছ থেকে তিনি সাহায্যপ্রার্থী হতে পারেন না।
এমএইচএম

