বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে খুব বেশি কথা বলা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ও লোকসভার কংগ্রেস দলীয় আইনপ্রণেতা শশী থারুর।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। আগামী ১১ ডিসেম্বর শশী থারুররের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক ডেকেছে সংসদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি।
বিজ্ঞাপন
এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেস এমপি শশী থারুর বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারের পর প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, লোকসভার পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি আগামী ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছে।
শশী থারুর বলেন, ‘যদি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু বলার থাকে, তাহলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর যদি সংসদে এসে আমাদের বলেন, সেটি ভালো হবে। বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আমরা ১১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির বৈঠক আহ্বান করেছি। বাংলাদেশে যা ঘটছে আমরা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন... সব সংখ্যালঘুর নিজ দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার পাওয়া উচিত।’
কংগ্রেসের এই এমপি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের এটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলা ঠিক হবে না। কারণ, এই বিষয়টি আমাদের দেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।’
বিজ্ঞাপন
এর আগে, ভারতের সংসদে গতকাল বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে লোকসভায় কথা বলেছেন তিনি। এদিন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আরও কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
বাংলাদেশে চলতি বছরের আগস্টসহ বিভিন্ন সময়ে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর ওপর সহিংসতার খবর দেখেছে ভারত সরকার। তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সংখ্যালঘুদের মন্দির ও ধর্মীয় স্থানগুলোতেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
এমএইচটি