অকল্পনীয় ঘটনা ঘটেছে ইরানে সেই 'অন্তর্বাস' পরে হিজাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা তরুণীর ভাগ্যে। পশ্চিমারা যখন বিষয়টিকে একটি ইরান-বিরোধী ইস্যু তৈরির পায়তারা করছিলো, তখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে শাস্তি ছাড়াই মুক্তি পায় ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে না বলেও জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। ঘটনাটি ইরানে একেবারেই বিরল। খবর বিবিসির।
বিজ্ঞাপন
নারীদের জন্য কড়াকড়ি পোশাকবিধি রয়েছে ইরানে। দেশটিতে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক।
ইরানের বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর মানসিক অসুস্থতার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে শাস্তি ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নভেম্বরের শুরুতে তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাববিরোধী বিক্ষোভে শুধু অন্তর্বাস পরে প্রতিবাদ জানান ওই তরুণী।
বিজ্ঞাপন
তিনি অভিযোগ করেন, সঠিকভাবে হিজাব না পরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে হেনস্তা করেছেন। এর প্রতিবাদে তিনি পোষাক খুলে প্রকাশ্যে হাঁটাহাঁটি করেন।
এ ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থীকে পরবর্তী সময়ে একটি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। যদিও তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্তর্বাস পরে প্রকাশ্যে হাঁটাহাঁটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় তখন।
পরে ওই তরুণীকে আটক করলে নিন্দা জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
উল্লেখ্য, হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এর আগে ২০২২ সালে ইরানের নীতি পুলিশ ইরানি কুর্দি নারী মাশা আমিনিকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু পুলিশের হেফাজতে তার মৃত্যু হলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। সে সময় দেশটিতে বিপুলসংখ্যক নারী রাস্তায় নেমে পোশাকবিধির প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক সহিংস উপায়ে এই বিক্ষোভ দমন করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
-এমএমএস