রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ইরাকে তীব্র পানি সংকট, হুমকির মুখে গম উৎপাদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২, ০৩:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ইরাকে তীব্র পানি সংকট, হুমকির মুখে গম উৎপাদন
ছবি : এপি

উচ্চ দাবদাহ এবং খরা থেকে উদ্ভূত পানির ঘাটতি ইরাকের গম উৎপাদনকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ইতোমধ্যে পানির অভাবে কম ফলন এবং ছোট আকারের শস্য উৎপাদনের মত সমস্যা ভোগ করছে দেশটি।

চাহিদার সমস্ত পানির জন্য টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেটিস নদীর ওপর নির্ভরশীল ইরাক। প্রতিবেশী দুই দেশ তুরস্ক এবং ইরান নদী দুটির উজানে বাঁধ দেয়ায় কমেছে এসেছে পর্যাপ্ত জলের সরবরাহ।


বিজ্ঞাপন


এমতাবস্থায় কৃষি সেচে ৫০ শতাংশ পানি প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় দেশটির সরকার। যার সরাসরি প্রভাব দেখা স্থানীয় গম উৎপাদনে।

রাজধানী বাগদাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় কৃষক সালাহ চেলাব জানান, সরকারি সিদ্ধান্তের পর মাত্র এক চতুর্থাংশ জমিতে চাষাবাদে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন তার বিস্তীর্ণ জমির ফসল ‘জল ছাড়াই মারা যাবে’।

তিনি আরও জানান, ২০২১ সালে তার নিজের ১০ একর জমিতে অন্তত ৩০ হাজার টন গম উৎপাদন করেছিলেন। পানির অভাবে চলতি বছর ১০ হাজার টন গম উৎপাদিত হবে কি না এ নিয়ে বেশ চিন্তিত চেলাব।

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশটির পানি সম্পদ মন্ত্রী মাহদি রাশেদ জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় নদীতে পানির স্তর কমেছে ৬০ শতাংশ। খবর এপি।


বিজ্ঞাপন


এমতাবস্থায় কয়েক দশক ধরে চলমান অদক্ষ এবং অনুন্নত চাষাবাদ ব্যবস্থা পরিবর্তনের কথা বলছেন ইরাকের সরকারি কর্তৃপক্ষ। পুরানো এবং অপ্রয়োজনীয় চাষের কৌশল আধুনিকীকরণের দিকে ঠেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে মত দিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামিদ আল-নাইফ।

হামিদ আল-নাইফ বলেন, “বৃষ্টির অভাব, বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা সেচের অভাব বিবেচনা করে খরা মোকাবেলার জন্য আমাদের একটি কৌশলগত পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ আমরা আমাদের পানির অধিকারের অংশ পাইনি।’’

ইরাকের প্রধান খাদ্য শস্য গম। দেশটির মোট শস্য উৎপাদনের ৭০ শতাংশই গম। প্রতি বছর স্থানীয়ভাবে শস্যটির চাহিদা ৫-৬ মিলিয়ন টন।

ইরাকে প্রতিবছরই কমছে গম উৎপাদন। কৃষি মন্ত্রণালেয় তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে দেশটি ৪.২ মিলিয়ন গম উৎপাদন করেছিল। অথচ ২০২০ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৬.২ মিলিয়ন টন।

টিএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর