শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভারতের দিঘায় সমুদ্রে নামতে বাধা পর্যটকদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

ভারতের দিঘায় সমুদ্রে নামতে বাধা পর্যটকদের

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র মোকাবিলায় পুরনো অভিজ্ঞতার উপরেই জোর দিতে চাইছে রাজ্য। 

দুই জেলার স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অতীতে অন্য ঘূর্ণিঝড়ের সময় যে উপায়ে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছিল, এবারেও সেগুলিই প্রয়োগ করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


অধিকাংশ পর্যটক ইতিমধ্যেই দিঘার হোটেল ছেড়ে বাড়ির পথ ধরলেও কিছু অত্যুৎসাহী পর্যটক এখনও হোটেলে বসে আছেন।

বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কয়েকজন সমুদ্রের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাঁশের ব্যারিকেড থাকায় সৈকতে নামতে পারেননি তারা। সমুদ্রে যাতে কেউ নামতে না পারেন, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সকালের দিকে সৈকত সংলগ্ন কয়েকটি দোকান খুললেও পরে প্রশাসনের লোকজন গিয়ে সেগুলি বন্ধ করান। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

প্রায় একই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালিতেও। বুধবার থেকেই সেখানে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস বেড়েছে। সমুদ্রে যাতে কেউ না নামতে পারেন, তা দেখার জন্য সৈকতে পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী মোতায়েন করা হয়েছে। 

দুই জেলাতেই উপকূলবর্তী নিচু এবং বিপজ্জনক এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানকার বাসিন্দাদের ফ্লাড সেন্টার ও নিকটবর্তী স্কুলগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যেতে সব প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে গ্রামবাসীদের সরানোর কাজ পুরোদস্তুর শুরু হবে। 


বিজ্ঞাপন


এছাড়াও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও আপৎকালীন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, দিঘা সমূদ্রসৈকতসহ মন্দারমনি, তাজপুর ও শঙ্করপুরের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা কড়া সুরক্ষায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। 

পুলিশের পাশাপাশি নুলিয়া, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে। পর্যটকদের পাশাপাশি সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার গ্রামবাসী এবং মৎস্যজীবীরা যাতে এই সময় সমুদ্রে না নামেন,তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।”

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে সকাল থেকে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। রায়চক এবং কুকড়াহাটির মধ্যে এবং ডায়মন্ড হারবার এবং কুকড়াহাটির মধ্যে নৌকা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা শাসকের দফতরে খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও কুইক রেসপন্স টিমকেও।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 

ওই দুই জেলায় মাঝেমধ্যে ঝোড়ো হাওয়াও বইছে। তবে এখনও পর্যন্ত সমুদ্র মোটের উপরে শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে জেলা প্রশাসন।

-এমএমএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর