শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট আসন্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ১১:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট আসন্ন
যুদ্ধ ও মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট আসন্ন

করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোতে ধারাবাহিকভাবে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ এর প্রধান কারণ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে ব্যস্ত তখন আবার শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যা খাদ্য সংকটকে করেছে আরও ঘনীভূত করে। বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে।

এদিকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমাদের কঠোর বিধিনিষেধের মুখে পড়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে রুশ পদক্ষেপের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ইউক্রেনের শস্য রফতানি। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন ও রাশিয়া বিশ্বব্যাপী খাদ্যের ১০ ভাগের এক ভাগ সরবরাহ করে। তারা বিশ্বের গম রপ্তানির ৩০ শতাংশের পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে। কমপক্ষে ২৬টি দেশ তাদের অর্ধেকেরও বেশি খাদ্যশস্যের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল।


বিজ্ঞাপন


চলতি সপ্তাহের শুরুতে ২০২২ সালের পর গমের দাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। আরও ৬ শতাংশ বেড়ে যায় ভারতের গম রফতানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের পর।

গত বছরের জুলাইতে শুরু হওয়া ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে রাশিয়া বিশ্ব চাহিদার ১৬ শতাংশ গম রফতানি করে। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের অবদান ছিল ১০ শতাংশ। কিন্তু সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় দেশ দু’টি শস্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়।

ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইএইইউ) বাইরে গম, রাই, যব ও ভুট্টা রফতানি ৩০ জুন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করে। অপরদিকে ইউক্রেন ওডেসা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছে।

এছাড়া কাজাখস্তানসহ কয়েকটি প্রধান শস্য সরবরাহকারী দেশ যখন রফতানি বন্ধ করে দেয় তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। মূলত অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতেই দেশগুলো এমন সিদ্ধান্ত নেয়।


বিজ্ঞাপন


জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের ২০-৩০ শতাংশ জমি অনাবাদি বা চাষের আওতার বাইরে থেকে যাবে।

বিশ্বজুড়ে এমন পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবে না এমন মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক শ’ ৬০ কোটি। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে প্রায় ২৫ কোটি। পাশাপাশি আরও কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্যতার মধ্যে পড়তে পারে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস সামনের দিনগুলোতে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ঘাটতি দেখা যাবে বলে এর আগে সতর্ক করেছেন।

সূত্র : দ্য ইকোনমিস্ট

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর