ইরানের হামলার ভয়ে ইসরায়েলে বিমান চলাচল বাতিল করেছে অন্তত সাতটি এয়ারলাইন্স। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ডেল্টা, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, লুফথানসা, অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স, ব্রাসেলস এয়ারলাইন্স ও এয়ার ইন্ডিয়া।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে জার্মান এয়ারলাইন্স লুফথানসার একটি প্লেন ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে না গিয়ে সাইপ্রাসের লার্নাকাতে নামে। প্লেনটির ক্রুরা ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানান। ফ্লাই দুবাইও তাদের কিছু পূর্বনির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করেছে।
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, তেল আবিবের বেন গুরিণ বিমানবন্দরে এখন ৭০ হাজার মানুষ অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই দেশ ছাড়ার চেষ্টায় রয়েছেন। কেউ কেউ আবার এসেছেন নিজেদের টিকিট ক্যান্সেল করতে।
বুধবার (৩১ জুলাই) ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েল। ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বুধবার ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তেহরানে ইসমাইল হানিয়া হত্যার শিকার হয়েছেন ঘোষণার পরপরই জরুরি বৈঠকে বসেছিল ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল। সেসময় ইসরায়েলে সরাসরি হামলা করতে নির্দেশ দেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে আলোচনায় বসতে চলেছে ইরান ও দেশটির মিত্ররা। জানা গেছে, এ ব্যাপারে আলোচনা করতে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনের মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
বিজ্ঞাপন
এইউ