শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ঢাকা

আরও ১৫০ রুশ সেনা হত্যার দাবি করল ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২, ১০:৪৬ পিএম

শেয়ার করুন:

আরও ১৫০ রুশ সেনা হত্যার দাবি করল ইউক্রেন
ইউক্রেন যুদ্ধে ধ্বংস হওয়া রুশ ট্যাংক

সাম্প্রতিক সময়ে আরও ১৫০ রুশ সেনা হত্যার দাবি করেছে ইউক্রেন। এ নিয়ে চলমান যুদ্ধে মোট ২৮ হাজার ৫৫০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। শনিবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেন, ‘গতকাল আরও ১৫০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে।’


বিজ্ঞাপন


বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ২০৪ রুশ বিমান, ১৬৯ হেলিকপ্টার, ৪৬২ ড্রোন, ১২৭৮ ট্যাংক ও ৩১১৬টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। এ সময় রাশিয়া আরও ২০১ মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম, ২,১৬২ যানবাহন, ১০৪ ক্রুজ মিসাইল, ৯৩ বিমান বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ১৩ সামরিক নৌযান হারিয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ‘ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রুশ হামলায় কমপক্ষে ২৩১ শিশু নিহত ও ৪২৭ জন আহত হয়েছে। দোনেৎস্ক, কিয়েভ ও খারকিভ অঞ্চলে চালানো হামলায় বেশিরভাগ শিশু নিহত হয়েছে।’

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে অন্তত ৩,৮৮৩ জন নিহত এবং ৪ হাজার ৩৫১ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু, প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ‘ইউক্রেনের মোট ৬৪ লাখ মানুষ অন্য দেশে পালিয়ে গেছেন এবং ৭৭ লাখের বেশি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


ইউক্রেনের রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া অঞ্চলের মুসলিম তাতারদের নেতা মোস্তফা আব্দুলসেমিল কিরিমোগ্লু বলেছেন, ‘রুশ কর্তৃপক্ষ ক্রিমিয়ার মুসলিম তাতারদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত যুগের ন্যায় নিপীড়নমূলক নীতি প্রয়োগ করছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন ক্রিমিয়ান মুসলিম তাতারদের বিরুদ্ধে এক ধরনের নিয়মতান্ত্রিক নিপীড়নমূলক নীতি পরিচালনা করছে রাশিয়া। এ কারণে ৩০ হাজারের বেশি মুসলিম তাতারে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে পালিয়ে যান। যারা সাহস করে থেকে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তিকে মেরে ফেলা হয়েছে এবং আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। রুশ কর্তৃপক্ষ তাদের উগ্রবাদী নীতির মাধ্যমে ক্রিমিয়ান তাতারদের এ অঞ্চল ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে। অথচ তারা এ অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ।’  

বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে মোস্তফা আব্দুলসেমিল কিরিমোগ্লু বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার এ আগ্রাসন প্রত্যাশিত বা পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে না। তাই বর্তমান এ যুদ্ধ হলো একটি সুযোগ যার মাধ্যমে রাশিয়ার দখল থেকে ক্রিমিয়াকে মুক্ত করা যাবে।’

অন্যদিকে টানা কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিউপোলের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা দখল করেছে রুশ বাহিনী। এরপর পুরো মারিউপোলে বিজয় ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫৩১ জন ইউক্রেনিয়ান যোদ্ধারা চলে যাওয়ার পর ওই শহর ও ইস্পাত কারখানাকে 'পুরোপুরি মুক্ত' করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সেখানকার যেসব ভূগর্ভস্থ এলাকায় তারা লুকিয়ে ছিল, তা রাশিয়ার সৈন্যদের পুরো নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর