বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪, ঢাকা

ভারতে বাংলাদেশি তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় ১১ জন দণ্ডিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২, ০৮:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

ভারতে বাংলাদেশি তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় ১১ জন দণ্ডিত
ভারতে বাংলাদেশী এক তরুণীকে গণধর্ষণ মামলায় ১১ বাংলাদেশীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে গণধর্ষণ মামলায় ১১ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে সেখানকার এক বিশেষ আদালত। ধর্ষকদের পাঁচ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২১ মে) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত সাতজনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে শুক্রবার বেঙ্গালুরুরের বিশেষ আদালত এই রায় দেয়।


বিজ্ঞাপন


যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা অপরাধীরা হলেন- চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাকদুল ইসলাম (হৃদয় বাবু), মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেন।

তানিয়া খান নামের এক নারী আসামির ২০ বছর ও মোহাম্মদ জামাল নামের একজনের পাঁচ বছরের করাদণ্ড দিয়েছেন ভারতীয় বিচারক। আর ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে নুসরাত ও কাজল নামে দু’জনের নয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর খালাস পেয়েছেন একজন।

গত বছরের মে মাসে বেঙ্গালুরুতে ২২ বছরের এক বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপর গণধর্ষণ করা হয়। কয়েক দিন বাদে নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি দেখার পর প্রথম পদক্ষেপ নেয় আসাম পুলিশ। ওই ভিডিও থেকে পাঁচ নিপীড়কের ছবি প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য টুইটারে পুরস্কারের ঘোষণা দেয় তারা।


বিজ্ঞাপন


ওই ঘটনায় ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা।

ওই মামলার অভিযোগকারী তখন বলেছিলেন, মেয়েটি ঢাকার ‘মগবাজারে তার স্বামীর বন্ধু হৃদয়ের মাধ্যমে’ দুবাই যাওয়ার ভাবনার কথা জানালে তিনি নিষেধ করেছিলেন মেয়েকে। তারপরও মেয়ে তার সাথে যান।’

এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ওসি বলেন, টিকটকার মোহাম্মদ রিফাকদুল ইসলাম (হৃদয় বাবু) ও কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি করেন মেয়েটির বাবা।

ঢাকা মহানগর পুলিশ বলেছিল, নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী ও নির্যাতনকারীদের একজন ঢাকার মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। সাইবার পেট্রোলের অংশ হিসেবে ভিডিওটি তাদের নজরে আসে। নির্যাতনকারী একজনের চেহারার সঙ্গে মগবাজার এলাকার এক যুবকের ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করা ছবির মিল পাওয়া যায়। পরে জানা যায় তিনি টিকটকার মোহাম্মদ রিফাকদুল ইসলাম (হৃদয় বাবু)।

পরে ভারতে হৃদয় বাবুসহ দুজন ‘পালানোর চেষ্টার সময়’ গুলিতে আহত হয় বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল।

গত বছর ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে ভারতের পুলিশ, যার মধ্যে ১১ জনই অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশকারী।

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) ভীমশঙ্কর গুলেড় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন,ডিএনএ অ্যানালাইসিস, ইলেক্ট্রনিক প্রমাণ, মোবাইল ফরেনসিক,ফিঙ্গার প্রিন্টসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি যথাসময়ে দাখিল করা হয়। এ কারণে দ্রুত বিচার সম্ভব হয়েছে।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর