শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ক্রিমিয়ার মুসলিম তাতারদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার দমনমূলক নীতি গ্রহণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২২, ০৪:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

ক্রিমিয়ার মুসলিম তাতারদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার দমনমূলক নীতি গ্রহণ
মোস্তফা আব্দুলসেমিল কিরিমোগ্লু

রুশ কর্তৃপক্ষ ক্রিমিয়ার মুসলিম তাতারদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত যুগের ন্যায় নিপীড়নমূলক নীতি প্রয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন মোস্তফা আব্দুলসেমিল কিরিমোগ্লু। ক্রিমিয়ার মুসলিম তাতারদের এ নেতা বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন। বর্তমানে তিনি ইউক্রেনের পার্লামেন্টে একজন ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৪৪ সালে সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন কর্তৃক ক্রিমিয়ান তাতারদেরকে তাদের ঐতিহাসিক জন্মভূমি থেকে সাইবেরিয়ায় নির্বাসনের ৭৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কিরিমোগ্লু এমন অভিমত প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ১৯৪৪ সালে যা ঘটেছিল তা ছিল মূলত ক্রিমিয়ান মুসলিম তাতারদের ওপর চালানো নির্বিচার গণহত্যা। ওই নির্বাসনের সময় প্রথম দু’বছরের মধ্যে এ জাতিগোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ মারা গিয়েছিল।


বিজ্ঞাপন


এ তাতার নেতা বলেন, সোভিয়েত প্রশাসন ক্রিমিয়ায় তাতারদের সকল ঐতিহাসিক চিহ্ন বা স্মৃতিগুলোকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। এ অঞ্চলে তাদের ভাষা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, এমনকি তাদের কবরস্থানও ভেঙে ফেলেছিল ওই সময়কার রুশ শাসকরা।

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর ক্রিমিয়ান তাতার জনগোষ্ঠী (তাদের মধ্যে তিনি নিজেও ছিলেন) প্রায় ৫০ বছর ধরে তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য এবং তাদের অধিকার ফিরে পেতে সংগ্রাম করেছে।

২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক ক্রিমিয়া দখলের কথা উল্লেখ করে কিরিমোগ্লু জোর দিয়ে বলেন, ‘এখন ক্রিমিয়ান মুসলিম তাতারদের বিরুদ্ধে এক ধরনের নিয়মতান্ত্রিক নিপীড়নমূলক নীতি পরিচালনা করছে রাশিয়া। এ কারণে ৩০ হাজারের বেশি মুসলিম তাতার এ ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে পালিয়ে যান। যারা সাহস করে থেকে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তিকে মেরে ফেলা হয়েছে এবং আরো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। রুশ কর্তৃপক্ষ তাদের উগ্রবাদী নীতির মাধ্যমে ক্রিমিয়ান তাতারদেরকে এ অঞ্চল ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে। অথচ তারা এ অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ।’  

বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার এ আগ্রাসন প্রত্যাশিত বা পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে না। তাই বর্তমান এ যুদ্ধ হলো একটি সুযোগ যার মাধ্যমে রাশিয়ার দখল থেকে ক্রিমিয়াকে মুক্ত করা যাবে।’


বিজ্ঞাপন


তার মতে, ক্রিমিয়ার মোট জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশ এখন রাশিয়ান দখলদারিত্বের অবসান চায়।

মোস্তফা আব্দুলসেমিল কিরিমোগ্লু তার এ বক্তব্য প্রদান করার সময় তুরস্কেরও প্রশংসা করেন। কারণ, বর্তমানে দেশটি ইউক্রেন ও ক্রিমিয়ান তাতারদের সহায়তা করে যাচ্ছে। এছাড়া রাশিয়া কর্তৃক ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করাকে বৈধ মনে করে না তুরস্ক।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, ইয়েনি শাফাক 

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর