ইদ্দতকাল পূর্ণ হওয়ার আগেই ‘প্রতারণামূলক’ বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন ইমরান খান ও তার তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবি। এই সাজা থেকে অব্যাহতি চেয়ে যে আপিল করেছিলেন ইমরান খান ও বুশরা বিবি তা বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) খারিজ করে দিয়েছেন ইসলামাবাদের একটি আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বুশরা বিবির সঙ্গে খাওয়ার মানেকার আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে। তারপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বুশরাকে বিয়ে করেন ইমরান।
বিজ্ঞাপন
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী, স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলে বা স্বামী মারা গেলে পরবর্তী বিয়ের জন্য মুসলিম নারীদের অন্তত ৩ মাস অপেক্ষা করতে হয়। এই সময়কালকে বলা হয় ‘ইদ্দত’। খাওয়ার মানেকার অভিযোগ, ‘ইদ্দত’ পার হওয়ার আগেই বুশরাকে বিয়ে করেছেন ইমরান। সুতরাং এই বিয়ে অবৈধ।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, করাচির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আফজাল মাজোকা বৃহস্পতিবার সংরক্ষিত এই রায় ঘোষণা করেন। তবে পাকিস্তানের আইনজীবী, নারী অধিকারকর্মী এবং সুশীল সমাজের একটি বড় অংশ সাজা বহাল রাখার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তকে তারা ‘নারীদের মর্যাদা এবং গোপনীয়তার অধিকারের ওপর আঘাত’ বলে অভিহিত করেছেন।
সাজা বহাল রাখার পর রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদসহ পাকিস্তানের একাধিক শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইসলামের নেতা ওমর আইয়ুব রায়ের সমালোচনা করে জানিয়েছেন, দল থেকে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে।
উল্লেখ্য, এই মামলার শুনানিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বুশরা এবং ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে পাঁচ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করেন একটি আদালত। কাছাকাছি সময়েই আরেকটি তোশাখানা মামলায় এই দম্পতিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।