শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটো সদস্য হতে দেবেন না এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২, ১০:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটো সদস্য হতে দেবেন না এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটো সদস্য পদে অধিষ্ঠিত হতে না দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি মনে করেন এর মাধ্যমে তুরস্ক ও ন্যাটো সামরিক জোট দুর্বল হয়ে যাবে। কারণ, ফিনিশ ও সুইডিশ কর্তৃপক্ষ উগ্রবাদকে সমর্থন করে।

বুধবার আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান নিরাপত্তাগত কারণে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটো সদস্য করার বিষয়ে সমর্থন দিবেন না। এছাড়া ওই দু’দেশ ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হলে তুরস্কেরও ক্ষতি হবে। কারণ ওই দেশগুলোতে উগ্রবাদীরা আশ্রয় নিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে এরদোগান বলেন, ‘আমরা আশা করি ন্যাটো জোটের অন্য দেশগুলো আমাদের উগ্রবাদবিরোধী প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাবে। এ বিষয়টাকে সম্মান করতে হবে। এরপর যদি সম্ভব হয় তবে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে তারা সমর্থন করতে পারে। এ বিষয়টা বড়ই অসঙ্গতিপূর্ণ যখন এ দু’দেশ উগ্রবাদী সংগঠন পিকেকে/ওয়াইপিজিকে সমর্থন করছে তখন তারা আবার ন্যাটোতেও যোগ দিতে যাচ্ছে। তারা উগ্রবাদীদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তরও করতে চায় না। তাদের মাধ্যমে তুরস্ক ও ন্যাটো সামরিক জোট দুর্বল হয়ে যাবে।’

তিনি আরো বলেন,‘ আমরা ৩০ উগ্রবাদীকে ফেরত চেয়েছি কিন্তু তারা বলেছে আমরা তাদেরকে ফেরত দেব না। তোমরা উগ্রবাদীদেরকে হস্তান্তর করবে না, তাহলে তোমরা এ সামরিক জোটেও যোগ দিতে পারবে না।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই ন্যাটোর সদস্য হতে চাইছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এ সামরিক সংগঠনের সদস্য হতে চাইলে তাদেরকে সকল ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সমর্থন পেতে হবে। এ কারণে ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সমর্থনও দরকার।

উল্লেখ্য, কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) আর ফতেহউল্লাহ গুলেনের অনুসারীদের সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছে আঙ্কারা। গোষ্ঠী দু’টিকে ২০১৬ সালে তুরস্কে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য অভিযুক্ত করেছে আঙ্কারা। এছাড়া ২০১৯ সালে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরুর পর তুরস্কের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।


বিজ্ঞাপন


এরপর গত সোমবার ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানায়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ন্যাটো জোট দেশটিকে সদস্য করার জন্য আলোচনা করতে ব্রাসেলসের জড়ো হয়। কিন্তু তুরস্কের বিরোধিতার কারণে ওই আলোচনা শুরু করা যায়নি।

এর আগে ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, আগামী এক/ দু’সপ্তাহের মধ্যে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির আলোচনার প্রথম ধাপ শেষ করা হবে। কিন্তু তুরস্কের বাধার মুখে দেশ দুটি আদৌ সদস্য হতে পারবেন কিনা তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

এমইউ 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর