শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ভারতের আলোচিত সেই মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২২, ০৩:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

ভারতের আলোচিত সেই মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবি
উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানবাপী মসজিদ

সম্প্রতি মন্দির ছিল বলে উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানবাপী মসজিদে অনুসন্ধান চালানোর আবেদন জানায় হিন্দুত্ববাদীরা। আদালত সেখানে পর্যবেক্ষণের আদেশ দেয়। পর্যবেক্ষণের সময় অনুসন্ধানকারীরা সেখানে শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবি করেছে। এরপর আদালত মসজিদসহ ওই এলাকা সিলগালা করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর একটি আদালত নির্দেশে এই অনুসন্ধান চালানো হয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমসের


বিজ্ঞাপন


পর্যবেক্ষকরা দাবি করেছেন, সমীক্ষার সময় একটি ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া গিয়েছে মসজিদের একটি জায়গায়। সেই নির্দিষ্ট জায়গা সিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বারাণসী আদালত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কৌশল রাজ শর্মাকে ‘এলাকাটি সিল করার এবং এলাকায় কোনো ব্যক্তির প্রবেশ নিষিদ্ধ করার’ নির্দেশ দিয়েছে। 

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে যে, ডিএম, পুলিশ কমিশনার এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) কমান্ড্যান্ট বারাণসীর মসজিদের সিল করা এলাকার নিরাপত্তার জন্য দায়ী থাকবেন।

একজন আইনজীবী সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন রবি কুমার দিবাকরের আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। তার আবেদনে আইনজীবী বলেন, মসজিদের কিছু এলাকায় সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই আবহে সেই এলাকাকে রক্ষা করার আবেদন জানিয়ে এই পিটিশন দাখিল করা হয়। 

এদিকে জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিচালনাকারী আনজুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এসএম ইয়াসিন বলেছেন, ‘আমরা আদালতের আদেশ অনুসারে কাজ করেছি এবং জরিপে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আমি গভীরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত যে আবেদনকারীরা জরিপের কার্যক্রমের বিবরণ ফাঁস করে দিচ্ছেন।’


বিজ্ঞাপন


আদালতের নির্দেশে ১৪ মে ফের একবার শুরু হয় কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার কাজ। দিল্লির বাসিন্দা রাখি সিং, লক্ষ্মী দেবী, সীতা সাহু এবং অন্যান্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশে এই সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। প্রথমে সমীক্ষা শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। 

সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির সময় বারাণসীর জ্ঞানবাপী-শ্রীঙ্গার গৌরী কমপ্লেক্সের খুব কাছেই দুটি স্বস্তিকের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন সমীক্ষার ভিডিওগ্রাফার। এরপর উত্তেজনা ছড়ায়। পরে বিক্ষোভের মুখে সমীক্ষা স্থগিত রাখা হয়। এরপরই মুসলিম পক্ষ কমিশনারের অপসারণের দাবি জানায়। তবে আদালত কমিশন বদলের আর্জি খারিজ করে। উপরন্তু দ্রুত সমীক্ষা সম্পন্ন করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর