বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

এশিয়া-আফ্রিকারও সমর্থন চান জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২২, ০১:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

এশিয়া-আফ্রিকারও সমর্থন চান জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

ইউরোপ-আমেরিকার একচেটিয়া সমর্থন পাওয়ার পর এবার এশিয়া ও আফ্রিকার সমর্থন আশা করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এজন্য তিনি এসব অঞ্চলের দেশের পার্লামেন্টে বক্তব্য দিতে চান। সেখানে রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত তথ্য দিতে চান তিনি। এক ভিডিও বার্তায় এমন ইচ্ছা ও আশার কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। 

সোমবারের প্রাত্যহিক ভিডিও বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন পরিস্থিতির কথা গোটা বিশ্বকে জানানো দরকার। সকলের কাছে তথ্য পৌঁছে দেওয়া দরকার। প্রতিটি দেশের সংবাদমাধ্যমে যেন ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করা হয়। এ কথা বলতে গিয়েই এশিয়া এবং আফ্রিকার পার্লামেন্টগুলিতে বক্তৃতা করার কথা বলেন তিনি। এর আগে ইউরোপের একাধিক পার্লামেন্টে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


রাশিয়ার হামলার ফলে খারকিভের দুইটি গ্যাস স্টেশন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ফলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রোববার থেকে ফের ওই দুইটি গ্যাস স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের প্রশাসন জানিয়েছে, দুইটি গ্যাস স্টেশনেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করা হয়েছে। এর ফলে তিন হাজার মানুষ ফের গ্যাস পেতে শুরু করেছেন।

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে পৌঁছেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেখানে তার বৈঠক হওয়ার কথা। ইইউ সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে ইউক্রেনকে আরো ৫০০ মিলিয়ন ইউরো সাহায্য দেওয়া হতে পারে।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবকের সঙ্গেও কুলেবার বৈঠক হতে পারে। সেখানে আরো সামরিক অস্ত্রের প্রয়োজনের কথা জানাতে পারেন কুলেবা।

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সরাসরি সাহায্য করছে বেলারুশ। যে কারণে, রাশিয়ার মতো বেলারুশের উপরেও একাধিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র। তারই জেরে বেলারুশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতি বছর ১৬ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করে বেলারুশ। দেশের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে এই রপ্তানির উপর। এ বছর তার কিছুই করা যায়নি। কারণ, নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে কেউ বেলারুশের জিনিস আমদানি করতে চাইছে না।


বিজ্ঞাপন


যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ যুদ্ধ শুরুর পর বেলারুশের কাছ থেকে কোনো জিনিস কেনেনি। বস্তুত, দেশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টালমাটাল চলছে বেলারুশে। ইউরোপ এবং অ্যামেরিকা লুকাশেঙ্কোর বিরোধী শিবিরকেই সমর্থন করছে। 

লুকাশেঙ্কোর সরকার বৈধভাবে সরকার গঠন করেনি বলে বিরোধীদের যে অভিযোগ, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র তা সমর্থন করে। ফলে আগেই বেলারুশের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা হয়েছিল। তবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নিষেধাজ্ঞা অনেক কড়া হয়।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

একে

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর