মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ঢাকা

মালয়েশিয়ার পাম তেলের ব্যবসায় নতুন অস্ত্র!

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

মালয়েশিয়ার পাম তেলের ব্যবসায় নতুন অস্ত্র!

মালয়েশিয়ায় তেল উৎপাদনের জন্য পাম গাছের বাগান তৈরি করতে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ওরাংওটাংদের আবাসস্থল। তবে এবার পাম তেল বিক্রির জন্য এই বনমানুষদেরই নতুন অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে দেশটি। পাম তেলের প্রধান ক্রেতাদের ওরাংওটাং উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মালয়েশিয়া।

টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ‘পাণ্ডা কূটনীতি’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘ওরাংওটাং কূটনীতি’ বেছে নিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম তেল উৎপাদনকারী দেশ মালয়েশিয়া।


বিজ্ঞাপন


নতুন এই কূটনীতির অংশ হিসেবে দেশটি পাম তেলের প্রধান ক্রেতা ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশকিছু বাণিজ্যিক অংশীদারকে স্তন্যপায়ী প্রাণী ‘ওরাংওটাং’ উপহার দেওয়ার কথা ভাবছে।

মালয়েশিয়ার বৃক্ষরোপণ ও পণ্যমন্ত্রী জোহরি আবদুল গনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, এর মাধ্যমে এটাই বোঝানো হবে যে মালয়েশিয়া কিভাবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করে এবং বনের স্থায়িত্বকে নিশ্চিত করে। বিশেষ করে, পাম বাগান অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে।

দীর্ঘদিন ধরেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদীরা অভিযোগ করে আসছে, পাম তেল উৎপাদন করতে গিয়ে উষ্ণমণ্ডলীয় বনাঞ্চল ধ্বংস করে বিপন্ন প্রাণিদের বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এসব অভিযোগ এবং শ্রমের অপব্যবহারের কথা উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো পাম তেলের আমদানিকারকরা তেল কেনার শর্ত হিসেবে বেশকিছু বিধিনিষেধও আরোপ করে।

পাম তেল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দুটি দেশ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া সম্মিলিতভাবে বিশ্বের ৮৫ ভাগ পাম তেল উৎপাদন করে। পশ্চিমা কয়েকটি দেশের পাম তেল বিরোধী প্রচারণাকে মোকাবিলা করার জন্য তাই একসঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা করেছে দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ।


বিজ্ঞাপন


ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের তথ্য মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বোর্নিও ও সুমাত্রার দ্বীপপুঞ্জে যে উষ্ণমণ্ডলীয় বনাঞ্চল রয়েছে শুধুমাত্র সেখানেই বসবাস করে ওরাংওটাং। বনমানুষের এই প্রজাতিটি বর্তমানে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর