বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভারত ও জাপান ‘জেনোফোবিক’, বললেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ মে ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

ভারত ও জাপান ‘জেনোফোবিক’, বললেন বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারত ও জাপানকে ‘জেনোফোবিক’ বলে অভিহিত করেছেন। চীন, রাশিয়ার সঙ্গে একই গ্রুপে যুক্ত করে তাদের এই আখ্যা দেন, যারা ‘অভিবাসী চায় না’। তবে এই মন্তব্যের মাধ্যমে বাইডেন কোনো দেশের অপরাধের কথা বলেননি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। 

শুক্রবার (৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।


বিজ্ঞাপন


জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কয়েক সপ্তাহ আগেই যখন রাষ্ট্রীয় সফরের ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন তখন মার্কিন-জাপান জোটকে ‘অলঙ্ঘনীয়’ বলে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন। তারপরই এই সমালোচনামূলক মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ভারত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

বুধবার (১ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্রচারণা তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে কথা বলেন বাইডেন। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানত এশিয়ান-আমেরিকান দর্শকদের উদ্দেশেই কথা বলছিলেন। এসময় বাইডেন বলেন, চলতি বছরের নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচন হবে ‘স্বাধীনতা, আমেরিকা এবং গণতন্ত্র’ নিয়ে।


বিজ্ঞাপন


জো বাইডেন বলেন, ‘কেন? কারণ, আমরা অভিবাসীদের স্বাগত জানাই। এটা নিয়ে ভাবুন। কেন চীন অর্থনৈতিকভাবে এত খারাপভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে? কেন জাপানের সমস্যা হচ্ছে? কেন রাশিয়া? কেন ভারত? কারণ, তারা জেনোফোবিক। তারা অভিবাসীদের চায় না।’

বাইডেনের এই বক্তব্যের পর মন্তব্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জাপান, ভারত, চীন এবং রাশিয়ার দূতাবাসে যোগাযোগ করেছে বিবিসি। কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অবশ্য এই মন্তব্যটির বিপরীতে মার্কিন পর্যবেক্ষকদের সমালোচনা সামনে এসেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক মার্কিন উপ-সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এলব্রিজ কোলবি বলেছেন, জাপান এবং ভারত ‘আমাদের দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ মিত্র’। তাদের প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের কথা বলা উচিত।

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, তিনি (বাইডেন) মার্কিন অভিবাসন নীতিতে আরও বিস্তৃত বক্তব্য রেখেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা ভালোভাবে জানেন, তাদের বন্ধুত্ব, তাদের সহযোগিতার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন কীভাবে তাদের মূল্যায়ন করেন। তারা জানে, তিনি জোট এবং অংশীদারিত্বের ধারণাকে কতটা গুরুত্ব দেন।’

ওয়াশিংটন ডিসি-ভিত্তিক আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ সদানন্দ ধুমে বিবিসিকে বলেছেন, বাইডেনের মন্তব্য সম্ভবত ভারতে খারাপভাবে গ্রহণ করা হবে কারণ দেশটি একটি ‘জাতীয়তাবাদী উত্থান’ অনুভব করছে।

সদানন্দ ধুমে বলেন, ‘এই মন্তব্য ভারতীয়দের একটি অংশের মধ্যে এমন ধারণা নিশ্চিত করবে যে, বাইডেন ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ নন। তারা চীনের মতো স্বৈরাচারী দেশগুলোর সাথে একই কাতারে নিজেদের দেখতে পাওয়াকে ভালোভাবে নেবে না।’

এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর