ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া বৈশ্বিক রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ এনেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধকারী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন গ্যাস ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে এটিকে ‘যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসেবে’ ব্যবহার করেছে দেশটি, যা আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত।
বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, ‘এই জাতীয় রাসায়নিকের ব্যবহার কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সম্ভবত এটি ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সুরক্ষিত অবস্থান থেকে সরিয়ে দেওয়ার এবং যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশলগত লাভ অর্জনের জন্য রুশ বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করেছে।’
এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
হেগ-ভিত্তিক অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপন্স (ওপিসিডব্লিউ) ক্লোরোপিক্রিনকে নিষিদ্ধ শ্বাসরোধকারী এজেন্ট হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে এই গ্যাস প্রথম ব্যবহার করেছিল জার্মানি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া এই গ্যাস ব্যবহার করার অবৈধ পদক্ষেপ বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। যেহেতু দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি করেছে।
ক্লোরোপিক্রিন ছাড়াও রাশিয়ান বাহিনী সিএস এবং সিএন গ্যাস লোড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। তারা বলছে, বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে অন্তত ৫০০ ইউক্রেনীয় সৈন্যের চিকিৎসা করা হয়েছে এবং টিয়ার গ্যাসে শ্বাসরোধে একজন মারা গেছেন।
এমএইচটি

