বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪, ঢাকা

গাজায় যুদ্ধবিরতি: হামাসের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

গাজায় যুদ্ধবিরতি: হামাসের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল
হামাসের ডেপুটি প্রধান খলিল আল-হাইয়া। ছবি: আল জাজিরা

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার হামাসের প্রস্তাবে ইসরায়েলের সাড়া দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন হামাসের ডেপুটি প্রধান খলিল আল-হাইয়া। এ নিয়ে শনিবার এক বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হামাস নেতা বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার জবাব পাঠানোর আগে এটি পর্যালোচনা করবে হামাস।


বিজ্ঞাপন


বিবৃতিতে খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘আজ ১৩ এপ্রিল মিসরীয় এবং কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে উপস্থাপিত প্রস্তাবের বিষয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে হামাস।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলন (হামাস) এই প্রস্তাব বিবেচনা করবে এবং বিবেচনা শেষ হলে প্রতিক্রিয়া জানাবে।’

আরও পড়ুন: বেইজিংয়ে ঐক্য সংলাপে ফাতাহ-হামাস

গত ১৩ এপ্রিল হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দেয়। তবে ইসরায়েল বিরোধিতা করে। সর্বশেষ, গত শুক্রবার মধ্যস্থতাকারী মিশরের একটি প্রতিনিধিদল ইসরায়েলে পৌঁছেছে স্থগিত হওয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য।


বিজ্ঞাপন


শুক্রবার ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে ইসরায়েল সফর করেছে একটি মিসরীয় প্রতিনিধি দল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বৈঠকের বিষয়ে জানান, ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনার শুরু করার উপায় খুঁজছেন তারা।

এই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের কাছে নতুন কোনও প্রস্তাব নেই। তবে তারা সীমিত যুদ্ধবিরতির বিষয়টি বিবেচনা করতে আগ্রহী, যেখানে ৪০ জন জিম্মির পরিবর্তে ৩৩ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।

এদিকে হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলের পাঁচ বছর বা তারও বেশি মেয়াদে অস্ত্রবিরতিতে যেতে প্রস্তুত। এমনকি সশস্ত্র শাখা বিলুপ্ত করে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক দল হিসেবেও কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রস্তুত।

আরও পড়ুন: হামাসের শীর্ষ নেতা কারা, শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু?

এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়্যা বলেন, ‘হামাস পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসরণ করে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন ও আন্তর্জাতিক রেজল্যুশন অনুযায়ী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন মেনে। এবং এমনটা হলে হামাসের সামরিক শাখা বিলুপ্ত করা হবে।’ 

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর