ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পর মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশু সাবরিন আল-সাকানি মারা গেছে। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে জন্মের চার দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার শিশুটি না ফেরার দেশে চলে যায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গত রোববার মধ্যরাতের পর দক্ষিণ গাজার রাফাহ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মৃত ফিলিস্তিনি মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয় শিশু সাবরিন আল-সাকানি।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালটিতে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হ্যান্ড পাম্প ব্যবহার করে তার ফুসফুসে বাতাস সরবরাহ করার চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। বৃহস্পতিবার মারা যায় শিশুটি। পরে শিশুটিকে মায়ের পাশেই সমাহিত করা হয়।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক বিমান হামলায় রাফাহতে অন্তত ১৬ শিশু মারা যায়। শিশু সাবরিন তাদের একজন। রাফাহর একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় ভবনটিতে থাকা ১৬ শিশুর সবাই মারা গেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তারা হামাসের যোদ্ধা ও তাদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গত শনিবার মধ্যরাতে আল-সাকানি পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়। সাবরিনের মা সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। হামলার সময় তিনি, তার স্বামী শুকরি ও তাদের তিন বছরের মেয়ে মালাক ঘুমিয়ে ছিল। হামলায় গুরুতর আহত হন সাবরিন। আর তার স্বামী ও মেয়ে মারা যায়। পরে সাবরিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান। এরপর সেই মৃত মায়ের পেট থেকে জন্ম নিয়েছিল শিশু সাবরিন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রাখা হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার মারা যায় শিশুটি। অকাল জন্মের কারণে শিশুটি শ্বাসকষ্টে ভুগছিল বলে চিকিৎসকরা জানান।
এমআর