ভয়াবহ বন্যায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল আরব আমিরাতের দুবাই শহর। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিমানবন্দর। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) তা আংশিকভাবে খোলা হয়েছে।
এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না, মনে করতে পারছে না দুবাই। আচমকাই মরুশহরে শুরু হয় বৃষ্টি। সমুদ্রের পানি ঢুকে পড়ে শহরের ভেতর। ভেসে যায় গাড়ি। রাস্তাঘাটে পানি থইথই। কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় দুবাই। বন্ধ করে দিতে হয় বিমানবন্দর।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার সকালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো বহু রাস্তা বন্ধ। কোনো কোনো রাস্তা আংশিকভাবে খোলা হয়েছে। দুবাই থেকে রাজধানী আবু ধাবি যাওয়ার রাস্তাও আংশিকভাবে খোলা হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মঙ্গল এবং বুধবার মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ৪৪টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। ৪১টি বিমান ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বিমানগুলো নেমেছে তার পাইলটেরা জানিয়েছেন, রানওয়ের উপরেও পানি ছিল। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ খোলার চেষ্টা করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দর পুরোপুরি খোলা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
এদিকে বিমান বাতিল হওয়ায় বহু যাত্রী বিমানবন্দরেই রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, বিমানবন্দর থেকে ফেরাও সম্ভব হয়নি। গোটা রাস্তাই পানির নিচে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বেরনোর আগে দেখে নিতে হবে বিমান বাতিল হয়েছে কি না। কারণ এত মানুষকে বিমানবন্দরে থাকতে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলেও দেখা যায়, অন্তত ২০০টি বিমান সময়ের পরে ছাড়বে অথবা তাদের বাতিল করা হয়েছে। এমিরেটসের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের অধিকাংশ উড়ানই সময়ে ছাড়তে পারছে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে অবশ্য রাস্তাঘাট থেকে ধীরে ধীরে পানি নামতে শুরু করেছে। স্কুলগুলো আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু মানুষ জানিয়েছেন, শপিং মলে এবং বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে দুবাইয়ে। -ডয়চে ভেলে
জেবি